ঢাকা: বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে চলেছে। গতকালও মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের। নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৭৬৮ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। মৃত্যু হয়েছে ১৬,৬৩৯ জনের। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও ঈদের জন্য লকডাউন শিথিল করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য শিথিল করা হবে লকডাউন। ঈদের আগে মানুষ যাতে সহজেই বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে পারেন, কেনাকাটা করতে পারেন, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।


এক সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে। তারপর ফের কঠোর বিধিনিষেধ জারি হবে।’


এ বিষয়ে বাংলাদেশের এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে লঞ্চ, বাস, ট্রেন সহ সব ধরনের গণ পরিবহণ চালু হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা যাবে শপিং মল এবং অন্যান্য দোকানগুলি। ঈদের জন্য পশুর হাটও খোলা থাকবে।’


বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, প্রতিটি কামরায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে চলবে ট্রেন। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে।


জাহাজ মন্ত্রকের জনসংযোগ আধিকারিক জাহাঙ্গীর আলম খান জানিয়েছেন, ‘আমরা এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোনও নির্দেশিকা পাইনি। জলযান চালু করা সংক্রান্ত নির্দেশিকা এলেই সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।’


বাংলাদেশের বাস মালিকদের একটি সংগঠনের নেতা এনায়েতুল্লাহ খান জানিয়েছেন, ‘ঈদের আগে বাস চালু করার বিষয়ে সরকারি নির্দেশের অপেক্ষায় আছি আমরা।’


বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত টানা চারদিন করোনায় মৃত্যু ২০০ পেরিয়েছে। এর মধ্যে লকডাউন শিথিল করা হলে সংক্রমণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা চিকিৎসকদের। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেসের এক আধিকারিক বলছেন, ‘এই অতিমারী যুদ্ধের মতো। যুদ্ধে মানবাধিকারের বিষয়টি বিবেচনা করা হয় না। বর্তমানে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেটা ঠেকানোর জন্য দেশজুড়ে ১৫ দিনের জন্য কার্ফু জারি করা উচিত ছিল। তাহলে হয়তো পরিস্থিতির উন্নতি হত।’


২১ জুলাই ঈদ। তারপর ২৩ জুলাই থেকে ফের ১৪ দিনের জন্য কঠোর লকডাউন জারি করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।