বাংলাদেশ: করোনা রুখতে সব দেশই টিকাকরণের পথে হেঁটেছে। তৃতীয় ঢেউ রুখতে বাংলাদেশও লকডাউন, করোনাবিধি মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গে টিকাকরণে জোর দিয়েছে। কিন্তু এই টিকা নিতে গিয়েই বিপত্তি। রীতিমত পদপিষ্টের অবস্থা হল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি ভ্যাকসিন কেন্দ্রে। রবিবার সেখানে টিকা নেওয়ার হুড়োহুড়িতে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।


সে দেশের সংবাদসংস্থা ঢাকা ট্রিবিউন প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, "অতিরিক্ত ভিড়, বিশাল লাইন, কোভিড নিয়ম বিধি ভেঙে টিকাকরণ কেন্দ্রে ভিড় জমান বাসিন্দারা। এদিকে টিকা কম থাকার খবর প্রকাশ্যে আসতেই হুড়োহুড়ি পরে যায়। সকলেই চায় টিকা নিতে। এই গণ টিকাকরণ করতে গিয়েই বিপত্তি বাধে।" 


জানা গিয়েছে, ঢাকাতে টিকাকরণ শুরুর দু থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে সব ডোজ শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশে রবিবার দ্বিতীয় দিন যখন ঢাকাতে গণ টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়। আগামী পাঁচ দিন ধরে বাংলাদেশব্যাপী ওয়াক-ইন ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সে দেশে ৩২ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।


ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকরা ওই ভিড় সামলাতে ব্যর্থ হয়। টিকা না নিয়ে চলে যেতে অস্বীকার করে প্রায় সকলেই। কেন গণটিকাকরণ ক্যাম্পেন চালু করেও টিকা দেওয়া হবে না এই প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা কেন্দ্র। শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শনও। 


যদিও ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপস্থিত ব্যক্তিদের দাবি ছিল যে টিকাকেন্দ্রে 'স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের লোককে আগে টিকা পাইয়ে দেন'। যাদের পাওয়ার কথা ছিল তাদের টিকা না দিয়ে 'ক্ষমতার জেরে' এই কাজ করেন উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা, এমন দাবি ওঠে। 


রবিবার বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানান হয় যে গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৪১ জনের। নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ২৯৯ জন। এখনও পর্যন্ত শেখ হাসিনার দেশে করোনা কোপে প্রাণ হারিয়েছে ২২ হাজার ৬৫২ জন, মোট সংক্রমণ ১৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৯৫।