ঢাকা: কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশে পুজো-মণ্ডপে হামলার ঘটনার মূল চক্রী ইকবাল হোসেন। বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনটাই খবর। বৃহস্পতিবার ১২টা নাগাদ সুগন্ধা সৈকত থেকে পাকড়াও করা হয়েছে তাকে। সূত্রের খবর, ইকবালকে কুমিল্লায় পাঠানো হচ্ছে। তাকে জেরা করেই বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
গতকাল রাতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইকবালকে চিহ্নিত করে পুলিশ। উৎসবের আবহে বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চিহ্নিত এই ব্যক্তি মসজিদ থেকে কোরান নিয়ে এসে, পুজো মণ্ডপে রেখেছিল! এরপরই কোরানের অপমানের গুজবে, পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্গাপুজো মণ্ডপে হামলা। হিন্দুদের বাড়ি দোকানে-ভাঙচুর-আগুন, মন্দিরে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। জানাল বাংলাদেশ প্রশাসন। সিসিটিভির যে ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছিল তাও দেখিয়েছে পুলিশ।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ অক্টোবর অর্থাত অষ্টমীর দিন গভীর রাতের এই ফুটেজে যাকে দেখা যাচ্ছে, সেই ইকবাল! ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এই যুবক মসজিদ থেকে কোরান হাতে বেরিয়ে আসছে। তারপর হাঁটতে হাঁটতে সে ঢুকে যাচ্ছে নানুয়ায় দিঘির পাড় পুজো মণ্ডপে। কিছুক্ষণ পরে দেখা যায়, হাতে হনুমানের গদা নিয়ে মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে আসছে ইকবাল। সেই সময় তার হাতে কোরান ছিল না।
ইকবালের মা আমেনা বেগম জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজে যাকে দেখা যাচ্ছে, সেটা আমার ছেলের ছবি। ও রংয়ের কাজ করত। নেশাখোর। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, হিন্দুদের ওপর পরিকল্পিত হামলার যে ছক কষা হয়েছিল, তাতে ইকবালকে ব্যবহার করল কারা? কারা ভবঘুরে ইকবালকে নির্দেশ দিয়েছিল কোরান দুর্গাপুজো মণ্ডপে রেখে আসতে? এখন সেই খোঁজই চালাচ্ছে পুলিশ।
কুমিল্লার যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে হিন্দুদের ওপর হামলা নেমে এসেছে, এ দিন সেখানে আওয়ামি লিগের কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'অন্যের ধর্মকে হেয় করলে নিজের ধর্মকেই অসম্মান করা হয়। কুমিল্লার ঘটনাটা যদি বিশ্লেষণ করি সেটাই দেখতে পায়। আমাদের পবিত্র কোরানকে অবমাননা করা হয়েছে। অন্যের ধর্মকে অসন্মান করতে গিয়ে। এটাই হচ্ছে সব থেকে দুঃখজনক। নিজের ধর্মের সম্মান নিজেকেই রক্ষা করতে হবে। নিজের ধর্ম পালনের অধিকার যেমন সবার আছে। অন্যের ধর্মকে কেউ হেয় করতে পারে না। নিজের ধর্মকে সম্মান করার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের ধর্মকেও সম্মান করতে হয়।’