ঢাকা: নুসরত জাহান রফি নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। ওই টিনএজ কিশোরীকে তাঁর স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানানোয় আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নুসরত দাবি করেছিল, তাকে নিজের ঘরে ঢেকে অশালীন ভাবে গায়ে হাত দিয়েছিলেন প্রিন্সিপাল সিরাজউদ্দৌলা। এমন অভিযোগ করার কয়েকদিন বাদে গত ৬ এপ্রিল স্কুলেই ১৮ বছরের মেয়েটির গায়ে আগুন লাগায় বোরখায় মুখ ঢাকা চারজন। ১০ এপ্রিল মারা যায় সে।
এ ঘটনায় সিরাজ সহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পিটিআইয়ের খবর, নুসরতকে ন্যয়বিচার দেওয়ার দাবি উঠেছে। ঢাকা ট্রিবিউন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মানবশৃঙ্খল তৈরি করে বিক্ষোভ দেখান নাগরিকরা। তার হত্যাকারীদের চরম সাজা দেওয়ার দাবি ওঠে। পুলিশকে উদ্ধৃত করে বাংলাদশের আরও একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, ২৭ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার পর জেলে বসেই নুসরতকে হত্যার ছক কষেন প্রিন্সিপাল।
তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকা ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল রুহুল আমিন জানিয়েছেন, অফিসাররা বহু নথিপত্র পরীক্ষা করছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে আরও বেশ কয়েকদিন লাগবে। সিরাজের বিরুদ্ধে নিন্দাজনক আচরণের অভিযোগ অনেক পুরানো এবং স্কুলের পরিচালকমন্ডলীও তা জানে বলে জানান রুহুল। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, নুসরতের ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতির যোগ আছে। একটি দলের দুজন কাউন্সিলরের উদ্যোগে ওই প্রিন্সিপালের পক্ষে, বিপক্ষে মানবশৃঙ্খল কর্মসূচি পালিত হয়।
হত্যার তদন্তে পুলিশি গাফিলতি হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। রুহুল বলেন, স্থানীয় থানার এক প্রাক্তন ওসি, সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে নথি, তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এটা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও স্কুল পরিচালন কমিটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিলে এই ট্র্যাজিডে হয়তো এড়ানো যেত।