নিউ ইয়র্ক: আমেরিকায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের ছুরিকাঘাতে খুন ৬০ বছর বয়সি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মহিলা। মুসলিম মহিলাদের যে ধরনের চাদরে মাথা ঢাকতে দেখা যায়, তাঁর মাথায়ও সেরকম আবরণ ছিল।


প্রাক্তন স্কুলশিক্ষিকা, নাজমা খানাম নামে নিহত বৃদ্ধা ৭৫ বছর বয়সি স্বামী সামসুল আলম খানকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের দোকানের ঝাঁপ ফেলে কেনাকাটা সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই তিনি আক্রান্ত হন। নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ-এর খবর, বুধবার স্থানীয় সময় রাত সওয়া নটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে, তাঁদের বাড়ি থেকে মাত্র কয়েকটা ব্লক দূরে। তাঁর স্বামী জামাইকা হিলসের কুইনস এলাকায় তাঁকে ৪ ইঞ্চি লম্বা ছুরি বুকে বেঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। আত্মীয়রা জানিয়েছেন, নাজমাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ছোট ছেলে, স্বামীর সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন মুলুকে আসেন নাজমা। জুনে মার্কিন নাগরিকত্ব পান সবাই।

নাজমার আত্মীয়দের দাবি, তাঁর ফোন, টাকাপয়সা, ব্যাগ কিছুই নেয়নি দুষ্কৃতীরা।এটা জাতিবিদ্বেষী হামলা। এর বিচার চাই। যদিও তদন্তকারীদের ধারণা, সম্ভবত ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এই হামলা করা হয়েছে।তদন্ত করছে নিউ ইয়র্ক পুলিশের জাতি বিদ্বেষী হামলা মোকাবিলার দায়িত্বপ্রাপ্ত টাস্কফোর্স। হামলার ঘটনাটি কোনও ক্যামেরায় ধরা নেই। যদিও হামলার কয়েক মূহূর্ত বাদে একটি লোকের ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালানোর ছবি উঠেছে।

প্রসঙ্গত, মাত্র দু সপ্তাহ আগে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বন্দুকধারীর ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারান এখানকার এক মসজিদের ৫৫ বছর বয়সি বাংলাদেশি-মার্কিন ইমাম, তাঁর সহযোগী। পুলিশ জানায়, আল ফুরকান মসজিদে মধ্যাহ্নের প্রার্থনার পর ইমাম মৌলানা আকনজি ও থারাউদ্দিনকে পিছন থেকে এসে গুলি করে দুষ্কৃতী।

এ ধরনের ঘটনা আমেরিকায় ইসলাম-ভীতি বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছে নানা মহল।