শুধু অবশ্য বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে থাকার তাড়নাই নয়, স্ত্রীকে খুন করে বিমার সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার হস্তগত করারও ছক কষেছিলেন ৩৭ বছরের মিতেশ। মে মাসে ঘটেছে গোটা ঘটনা। আদালত বলেছে, মিতেশ স্ত্রী জেসিকাকে ইনসুলিন দিয়ে সুপারমার্কেটের ব্যাগের সাহায্যে দম আটকে মারেন। তারপর এমন ছক কষেন যাতে মনে হয়, বাইরে থেকে কেউ এসে তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছে।
ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে মিতেশের নাম উঠে এলেও গোয়েন্দারা কিছুতেই তাঁকে অপরাধ কবুল করাতে পারছিলেন না। শেষমেষ তাঁরা মিতেশের আইফোনের হেল্থ অ্যাপের সাহায্য নেন। অবশেষে নভেম্বরে খোলে রহস্যের জট, গত মঙ্গলবার আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে।
জানা গিয়েছে, মিতেশের সম্পর্ক ছিল সিডনিতে বসবাসরত চিকিৎসক অমিত পটেলের সঙ্গে। এক সমকামী ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের আলাপ। মিতেশ ঠিক করেছিলেন, অমিতের সাহায্যে জেসিকার মৃত্যুর পরেও তিনি তাঁর আইভিএফ সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হবেন। বিমার টাকা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে যাওয়ারও বাসনা ছিল।