দ্য হেগ: 'হযবরল'-র দেশে চল্লিশ বছর হলেই বয়স ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে আবার বয়স নামতে থাকে। কিন্তু মানুষের দেশে কঠিন ঠাঁই। বছর ঘুরলেই বয়স বাড়ে।আর এমন হতে হতে নেদারল্যান্ডের এক ‘পজিটিভিটি গুরু’র বয়স গিয়ে পৌঁছেছে ৬৯-এ। কিন্তু বয়স ঘুরিয়ে দেওয়ার কোনও হাতেগরম উপায় নেই। তাই বয়স ২০ বছর কমানোর আর্জি জানিয়ে তিনি সটান আদালতে হাজির হলেন। কিন্তু এই অদ্ভূত আর্জি স্বীকার করেনি আদালত। সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে।
এমিল র‌্যাটেলব্যান্ড নামে ওই ব্যক্তি গত মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে নেদারল্যান্ডসের একটি আদালতে তাঁর বয়স বদলের আর্জি জানান। তিনি দাবি করেন, তাঁর বয়স কমিয়ে ৪৯ করা হোক। এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি ছিল, তাঁর প্রকৃত বয়সে তাঁর মানসিক পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটে না।
র‌্যাটেলব্যান্ড আরও দাবি করেছেন, বয়স যে ৬৯ হয়ে গিয়েছে, তা তাঁর মালুমই হয় না। আদালতকে তিনি আরও বলেন, সারা দুনিয়ায় অনেকেই নিজের নাম ও লিঙ্গ বদলের দাবি জানান। তাঁর দাবিও সেই দাবিগুলিরই মতো।
তাঁর এই আজব দাবি অবশ্য মানেনি আদালত। লিখিত রায়ে আদালত বলেছে, নেদারল্যান্ডসের আইন নাগরিকদের তাঁদের বয়স অনুযায়ী অধিকার দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ভোট দান ও স্কুলে যাওয়ার মতো অধিকার। র‌্যাটেলব্যান্ডর দাবি মানলে বয়সের সীমার তো আর কোনও গুরুত্বই থাকে না।
সংবাদমাধ্যমে জারি এক বিবৃতিতে আদালত বলেছে, র‌্যাটেলব্যান্ড তাঁর বয়স ২০ বছর কম অনুভব করেন এবং তাঁর নিজস্বভাবে জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তাঁর বয়স ২০ বছর কমানো হলে তাঁর জীবনের ওই ২০ বছরের রেকর্ডে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। কেননা, ওই রেকর্ডগুলি গায়েব হয়ে যাবে।
আদালতের এই রায়েও অবশ্য হার মানছেন না র‌্যাটেলব্যান্ড। উচ্চতর আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।