বেজিং: আগের দিনই ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ধাত্রীভূমি হিসেবে তোপ দেগেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু পরের দিনই এ ব্যাপারে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল তাদের বন্ধু দেশ চিন। বেজিং বলেছে, সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনও দেশ বা ধর্মকে যুক্ত করার বিরোধী তারা। একইসঙ্গে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে 'আত্মত্যাগ'কে স্বীকার করার জন্যও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আর্জি জানিয়েছে চিন।
গোয়াতে ব্রিকস সম্মেলনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোদীর মন্তব্য সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়িং।
উল্লেখ্য, ভারত-বিরোধী জঙ্গিসংগঠনগুলিকে মদত ও উস্কানি দেওয়ার জন্য মোদী পাকিস্তানের সমালোচনা করেছিলেন। এ ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে চুনিয়িং বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ব্যাপারে চিনের অবস্থান একই রয়েছে। একইসঙ্গে কোনও নির্দিষ্ট দেশ বা ধর্মের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে যুক্ত করার বিরোধী চিন।
তিনি বলেছেন, চিন যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদেরই বিরোধী। চিন মনে করে, সমস্ত দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতামূলক উদ্যোগ প্রয়োজন রয়েছে। পাকিস্তান যে তাঁদের বন্ধু দেশ তাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন চুনিয়াং।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারত-উভয় দেশই সন্ত্রাসবাদের শিকার। তিনি বলেছেন, 'সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে গিয়ে ইসলামাবাদকে আত্মত্যাগ করতে হয়েছে আর এ বিষয়টিকে সমগ্র বিশ্বেরই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন'।
ভারত ও পাকিস্তানের মতপার্থক্য সংক্রান্ত বিষয়ে বেজিং বলেছে, এই দুটি দেশই চিনের প্রতিবেশী। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান শান্তিপূর্ণভাবে মতপার্থক্যের অবসান ঘটাতে পারবে বলে চিন আশা প্রকাশ করেছে।