ব্রাসেলস: বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তাঁদের তৈরি মেশিনে মূত্রকে সার এমনকী পানীয় জলে রূপান্তরিত করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে গ্রামীণ এলাকা তো বটেই, উন্নয়নশীল দেশগুলোও উপকৃত হবে।
বর্জ্য তরলকে অন্য নানাভাবে ব্যবহার করা যায় ঠিকই কিন্তু ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, তাঁরা এ জন্য একটি বিশেষ ঝিল্লি বা মেমব্রেন ব্যবহার করেছেন, যা বিদ্যুৎক্ষেত্রে স্বয়ম্ভর, ফলে যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সে সব জায়গাতেও এই মেশিন কাজে দেবে। সৌরশক্তি ব্যবহার করে অত্যন্ত সহজ পদ্ধতিতে তাঁরা এভাবে বর্জ্য তরলকে কাজে লাগাতে পেরেছেন বলে বিজ্ঞানীরা মন্তব্য করেছেন।
তাঁরা জানিয়েছেন, প্রথমে একটি বড় ট্যাঙ্কে জমা করা হচ্ছে মূত্র। তারপর তা ফোটানো হচ্ছে সৌরশক্তি দিয়ে চালিত বয়লারে। এবার তা যাচ্ছে ওই মেমব্রেন বা ঝিল্লিতে। সেখানে মূত্র থেকে বার হচ্ছে পরিষ্কার জল ও পটাসিয়াম, নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের মত মৌলগুলি আলাদা হয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে তাঁদের স্লোগান #পিফরসায়েন্স। চূড়ান্ত পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য মধ্য ঘেন্ট এলাকায় ১০দিনের গানবাজনা ও থিয়েটার উৎসবে এই বিশেষ মেশিনটি বসায় বৈজ্ঞানিকদের ওই দলটি। সেখান থেকে সংগৃহীত মূত্র থেকে ১,০০০ লিটার জল পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এই জল থেকে তৈরি হবে বেলজিয়ামের বিখ্যাত বিয়ার। এবার তাঁরা এই মেশিনেরই আরও বড় সংস্করণ বসাতে চান স্টেডিয়াম বা বিমান বন্দরের মত এলাকায়, যেখান থেকে প্রচুর বর্জ্য তরল সংগ্রহ করা সম্ভব। বিশেষ করে তাঁদের লক্ষ্য, উন্নয়নশীল দেশগুলির গ্রামে এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, যেখানে সার ও পানীয় জলের সরবরাহ কম।
মূত্র থেকে তৈরি হবে সার আর জল: দাবি বেলজিয়ামের বৈজ্ঞানিকদের
ABP Ananda, web desk
Updated at:
29 Jul 2016 05:01 AM (IST)
NEXT
PREV
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -