বেজিং: সীমান্ত সমস্যা তো ছিলই, এখন ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আরও কিছু ‘নতুন সমস্যাও’।


এদিন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের সহকারী মন্ত্রী লি হুইলাই বলেন, দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কিছু সমস্যা ইতিহাসের পাতায় যেমন ঠাঁই পেয়েছে, তেমনই কিছু নতুন সমস্যাও সৃষ্টি হয়েছে। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে প্রভাব ফেলছে। কী রাস্তায় এই সমস্যার সমাধান খোঁজা যায়, উভয় দেশের কাছেই এখন সেটা প্রধান চ্যালেঞ্জ।

তবে, কী সেই ‘নতুন সমস্যা’, সেই নিয়ে চিনা মন্ত্রী মুখ না খুললেও ভারত-চিন সম্পর্কের গত কয়েক দিনের ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে এটা সহজেই অনুমেয় যে ঘুরিয়ে এনএসজি-বিতর্ককে এভাবেই উত্থাপন করেছেন তিনি।

তিনি যোগ করেন, দুই দেশই যোগাযোগ ও আলোচনা বৃদ্ধিতে সহমত পোষণ করেছে। বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সুষ্ঠু, উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজার চেষ্টা চালানো হবে। পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য সমস্যাগুলিকে নিয়ণ্ত্রণ করার প্রয়াস করা হবে।

সম্প্রতি পাঁচদিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। শুক্রবারই তিনি জানান, ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত-সমস্যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর তেমন কোনও প্রভাব ফেলবে না। তিনি জোর দেন, ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সীমান্ত সমস্যার সমাধানে বৈঠক করেছিল দুই দেশ। চিনের দাবি, অরুণাচল প্রদেশ লাগোয়া ২ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত সীমান্ত অঞ্চলে সমস্যা রয়েছে। এই অঞ্চলটিকে তিব্বতের অংশ বলে দাবি জানিয়ে আসছে বেজিং। ভারতের পাল্টা দাবি, অকসাই চিন সমেত গোটা লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) জুড়েই সমস্যা রয়েছে।

পাক-মদতপুষ্ট জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের কাছে পেশ করা ভারতের দাবিকে চিনের রুখে দেওয়া নিয়ে লি-কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি এই প্রসঙ্গে সরাসরি জবাব এড়িয়ে যান। আবার, এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চিনের বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি জানান, এটা ভারত বলে নয়। নন-এনপিটি যে কোনও রাষ্ট্রের জন্য চিন এই একই অবস্থান নেবে। বেজিংয়ের দাবি, তাদের অবস্থানকে সমর্থন করেছিল আরও অনেক দেশ।