ঢাকা: বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি যাত্রীবাহী নৌকার সঙ্গে বালিবোঝাই ট্রলারের ধাক্কায় অন্তত ১৯ জনের সলিলসমাধি হল। শুক্রবার বিকেল ৫.৪৫ মিনিট নাগাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজনগর উপজেলার তিতাস নদী সংলগ্ন লইস্কা বিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধারকার্য চলছে জোরকদমে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিখোঁজ ৫০-এর বেশি যাত্রী।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাটি চম্পকনগর ঘাট ছেড়ে যায়। সেখান থেকে সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের দিকে যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বালিবোঝাই ট্রলারটির সঙ্গে নৌকাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। নৌকাটির পিছনে আবার অন্য একটি বালিবোঝাই ট্রলার ছিল। সেটিও নৌকাটিকে ধাক্কা মারে। ফলে নৌকাটি উল্টে যায়।


এই দুর্ঘটনার পরেই শুরু হয় উদ্ধারকার্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আদর্শ থানার অফিসার ইন চার্জ মহম্মদ এমরানমুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’টি শিশু ও আটজন মহিলা আছেন। ৫০ জন সাঁতরে পাড়ে উঠে আসতে পেরেছেন। এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ।


বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডেপুটি কমিশনার হায়াত-উদ-দৌলা খান ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকার্য তদারকি করছেন। তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারপিছু ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে। এই দুর্ঘটনার কারণ জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।


বাংলাদেশে পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম হল জলপথ। মাঝেমধ্যেই নৌকাডুবি বা দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই নৌকাডুবি হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় তিতাস নদীতে নৌকাডুবিতে এক দম্পতির মৃত্যু হয়। তাঁদের সাত বছরের সন্তান নিখোঁজ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় তিতাস নদীতে নৌকাডুবিতে এক দম্পতির মৃত্যু হয়। তাঁদের সাত বছরের সন্তান নিখোঁজ। এই দুর্ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই একই জেলায় ফের দুর্ঘটনায় জলপথের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।