ট্রেনটন ম্যাককিনলে, অ্যালাবামার মোবাইল শহরের ১৩ বছরের কিশোর, মিরাকল চাইল্ডের এক অনবদ্য উদাহরণ। সেই কিশোর এক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত দুমাস ধরে ব্রেইনডেড পরিস্থিতিতে চলে যায়, ছিল হাসপাতালে। এরফলে ওই কিশোরকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে তো রাখতেই হয়, চিকিৎসকরা ট্রেনটনের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সমস্ত রকমের আশাও ছেড়ে দেন।


 

এরপরই ওই কিশোরের বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেন ছেলের অঙ্গ দানের। কারণ, যতদিন তাকে শুধু লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রেখে চিকিৎসা চালানো হবে, ততদিন তার অঙ্গ নষ্ট হবে। সেইজন্যে যেসমস্ত বাচ্চার অঙ্গ প্রয়োজন রয়েছে, তাদের ছেলের অঙ্গ দান করে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেন কিশোরের বাবা-মা। সেইমতো সমস্ত কাগজে সইও করে দেন ছেলেটির বাবা-মা। ডাক্তারও লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখনই ঘটে সেই অলৌকিক, অত্যাশ্চর্যজনক ঘটনা। কাগজে সইয়ের ঠিক পরের দিন জেগে ওঠে ট্রেনটন। কিশোরের মস্তিষ্ক নানা ভাবে কাজ করাও শুরু করে।

মার্চের শেষসপ্তাহ থেকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ছাড়া নিঃশ্বাস নেওয়াও শুরু করে ট্রেনটন। কথা বলা শুরু করে কিশোর।

কিশোরের মায়ের থেকেই জানা যায়, এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রায় ১৫ মিনিট সম্পূর্ণ থেমে গিয়েছিল কিশোরের হৃদযন্ত্র। সেখান থেকে আজ সে ফের ফিরে এসেছে জীবনের ছন্দে।