নয়া দিল্লি: নিউজিল্যান্ড সেই দেশ যেখানে প্রায় ছ'মাস করোনার কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। রীতিমতো করোনা মুক্ত দেশে হিসেবে বিশ্বে নজির তৈরি করেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এরই মধ্যে অকল্যান্ড সিটিতে একজনের দেহে ফের মিলল করোনা ভাইরাস। এর ফলে চিন্তিত হয়ে উঠেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্দেন। আপাতত তিন দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে সে দেশে।


বুধবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গোটা নিউজিল্যান্ড দ্বীপে জারি হয়েছে  Alert 4 লকডাউন। একজন আক্রান্ত হতেই যেভাবে লকডাউন জারি হয়েছে দেশে তাতে কিছুটা হতবাকই নিউজিল্যান্ডবাসী। আগামি সাত দিন অকল্যান্ড এবং পেনিনসুলাতে লেভেল ৪ জারি থাকবে বলে জানান হয়েছে।


নতুন বিধিনিষেধের অধীনে, দেশবাসীরা কেবল মুদি কিনতে, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা পেতে, স্থানীয় এলাকায় যোগা করতে বা বাড়ি থেকে কাজ করা সম্ভব না হলে অফিসে যেতে পারবেন। রেস্তোরাঁ, বার, স্কুল, জিমনেসিয়াম, সিনেমা হল এবং খেলার মাঠ সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক স্পেস বন্ধ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন যে পরিস্থিতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মোকাবিলা করার জন্য সর্বোত্তম কৌশল নেওয়া হবে। সেই কাজ বাস্তবায়িত করতে প্রশাসনের তরফে "কঠোর পরিশ্রম করা" হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।



লোকটি করোনার কোনো ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত তা এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অকল্যান্ডে সাতদিন লকডাউন জারি থাকবে। আর সারাদেশে লকডাউন তিনদিন থাকবে।নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে প্রায় তিন হাজার। মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। সুস্থ হয়েছে প্রায় সবাই।


জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই ব্যাক্তির বয়স ৫৮ বছর। ধারণা করা হচ্ছে গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়ে আছেন। এরইমধ্যে সংক্রমণের ২৩টি সম্ভাব্য এলাকা চিহ্নিত করেছে নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।


করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৯ জনের।