বুরহানের মৃত্যু কাশ্মীরের ‘টার্নিং পয়েন্ট’, বলল পাকিস্তান
ABP Ananda, Web Desk | 05 Feb 2017 12:55 PM (IST)
ইসলামাবাদ: হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যু কাশ্মীরের ‘টার্নিং পয়েন্ট’। এমনই মন্তব্য করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিদেশ সংক্রান্ত উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ। তাঁর দাবি, বুরহানের মৃত্যুর পর উপত্যকায় যে দীর্ঘস্থায়ী অশান্তি শুরু হয়, তা ‘মাটি থেকে উঠে আসা তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন’। রাজ্যের জনসংখ্যার ‘ধর্মভিত্তিক পরিবর্তন’ ঘটাতে ভারতের ভুল প্রচেষ্টাই এই আন্দোলনের ‘কারণ’। প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করে পাকিস্তান। পাক বিদেশ মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেখানেই আজিজ দাবি করেছেন, বুরহানের মৃত্যুর পর ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে ‘অসংখ্য মৃত্যু হয়েছে, বহু মানুষ সম্পূর্ণ বা আংশিক অন্ধ হয়ে গেছেন’। আজিজের আরও দাবি, ৭ মাস ধরে কাশ্মীরের মানুষের ওপর ‘প্রচণ্ড নৃশংসতা’ চলেছে। তাতেও দমেনি কাশ্মীরী যুবসমাজের ‘আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের আকাঙ্খা’। বুরহানের মৃত্যুর ফলে আরও একটা ঘটনা ঘটেছে বলে আজিজের দাবি। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে ভারত যে দাবি করে, তা আন্তর্জাতিক সমাজ নাকি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাঁর কথায়, বিশ্ব এখন বিশ্বাস করে, ভারত সরকার যেভাবে কাশ্মীরের মানুষের ‘ধর্মভিত্তিক পরিবর্তন’ আনার চেষ্টা করেছে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের যে ‘সংবেদনশীলতার অভাব’, তার ফলেই কাশ্মীরের যুবসমাজ আন্দোলনের পথে হেঁটেছে। বিভিন্ন দেশ নিজেদের মধ্যে এ ব্যাপারে আলোচনা করছে, ইউরোপ ও আমেরিকার মানবাধিকার সংগঠনগুলি চেষ্টা করছে, যাতে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসে, যাতে এই সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান মেলে। আজিজের অভিযোগ, এত কিছুর পরেও কাশ্মীর পরিস্থিতি থেকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার নজর ঘোরাতে চেষ্টা করছে ভারত। তাই সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাগুলি ছোঁড়া বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। অথচ একইসঙ্গে দাবি করছে, তারাই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের শিকার।