নয়াদিল্লি: ২০১৬ সালে নিষিদ্ধ হয়েছে টাকার বিনিময়ে অন্যের জন্য গর্ভধারণ। তারপরেও সারোগেসির বাজারে কাম্বোডিয়ার বাজারদর রীতিমত চড়া। সন্তানহীন দম্পতিরা এই দেশ থেকে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নিয়ে যাচ্ছেন।

কাম্বোডিয়ার রাজধানী নোম পেন থেকে ধরা পড়েছেন ৩৩ জন মহিলা। এঁরা সকলেই চিনা খদ্দেরদের জন্য গর্ভধারণ করেছেন। ৪ জন কাম্বোডীয় মহিলা ও তাঁদের পুরুষ চিনা ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে।তাঁদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও সারোগেসিতে মধ্যস্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ওই ৩৩ জন গর্ভবতীর বিরুদ্ধে এখনই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

পুলিশ জানিয়েছে, গর্ভধারণের বিনিময়ে চিনাদের কাছ থেকে তাঁরা প্রত্যেকে পেতেন ১০,০০০ ডলার করে।

কিন্তু বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও কাম্বোডিয়ায় সারোগেসির এত রমরমা কেন? গর্ভবতী হলে চুক্তি অনুযায়ী মহিলা পান ৫০০ ডলার। শিশু জন্ম নিলে প্রতি মাসে ৩০০ ডলার করে, ১০,০০০ ডলার হওয়া পর্যন্ত। এরই মধ্যে এভাবে কাম্বোডীয় মহিলারা চিনের অন্তত ২০টি পরিবারে সন্তান সরবরাহ করেছেন।

২০১৫ সালে চিন শিথিল করেছে তাদের কুখ্যাত ১ সন্তান নীতি। এরপর দেখা যাচ্ছে, ৯ কোটি দম্পতি দ্বিতীয় সন্তান নিতে ইচ্ছুক। তাই অনেকেই সারোগেসির শরণাপন্ন হচ্ছেন। সারোগেসিতে ঠিক কটি শিশু জন্মেছে তার নির্দিষ্ট হিসেব না থাকলেও মনে করা হচ্ছে, সংখ্যাটা প্রতি বছর ১০,০০০ ছাপিয়ে যায়।

সারোগেসির মাধ্যমে ব্যবসার অভিযোগ ওঠায় ভারত ইতিমধ্যেই এই প্রথা নিষিদ্ধ করেছে। একই পথে হেঁটেছে থাইল্যান্ডও।