ওয়াশিংটন: ঢাকার গুলশনে রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনার সঙ্গে আইএস-এর যোগ থাকার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেদেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন, আইএসআইএস এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। তাঁদের কাছে যে তথ্য এসেছে, সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
কিরবি আরও বলেছেন, তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের সব কর্মী অক্ষত রয়েছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক বলেছেন, আল-কায়দা এই হামলা চালিয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই এক মার্কিন আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, তাঁরা সব খবরের দিকেই নজর রাখছেন। তবে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানতে চাইছেন।
হোয়াইট হাউসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ঢাকার এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন সন্ত্রাস দমন বিষয়ে তাঁর পরামর্শদাতা লিসা মোনাকো। ওবামা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেট এবং নিম্নকক্ষ হাউস অপ রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যরা ঢাকায় জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন। সেনেটের গোয়েন্দা বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান রিচার্ড বার বলেছেন, এই জঙ্গি সংগঠনগুলি যেখান থেকে জঙ্গি নিয়োগ করে, প্রশিক্ষণ দেয় এবং হামলার ছক কষে সেই জায়গায় আঘাত হানতে হবে। অন্যান্য সদস্যরা এই জঙ্গি হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হতে চলা হিলারি ক্লিন্টন বলেছেন, জঙ্গিরা যতই চেষ্টা করুক না কেন, মানুষ কখনও ভয় ও ঘৃণার কাছে নতজানু হবে না। ট্যুইট করে ওই রেস্তোরাঁয় পণবন্দি হয়ে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছেন বলেও জানিয়েছেন হিলারি।