সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের করাচিতে একদল পড়ুয়া জেএনইউ-র ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। গত বুধবার করাচি প্রেস ক্লাবের সামনে ওই পাক পড়ুয়ারা জেএনইউ-র আক্রান্ত পড়ুয়া ও শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ান।
প্রতিবাদকারী পড়ুয়া ও মানবাধিকার কর্মীরা গতমাসে ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি)-র প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
পড়ুয়ারা ‘কদম বড়াও জেএনইউ হম তুমহারে সাথ হ্যায়’ (এগিয়ে চলো জেএনইউ, আমরা তোমার পাশে আছি) প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ৫ জানুয়ারির ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এক পাক সাংবাদিক ট্যুইটারে প্রতিবাদের ছবি শেয়ার করেছেন। তিনি লেখেন, জেএনইউ-র পড়ুয়া ও শিক্ষকদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পথে করাচির ছাত্ররা।
গত রবিবার সন্ধেয় জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ওপর মুখ ঢেকে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম পড়ুয়াকে এইমসে ভর্তি করতে হয়। পড়ুয়াদের ওপর এই হামলার নিন্দা করেছেন ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
পাক সংবাদপত্র ডন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে ইন্টার ইউনিভার্সিটি ফেমিনিস্ট ইউনিয়ন (আইইউএফইউ)-র পড়ুয়ারা বলেছেন, ‘ভারতে পড়ুয়াদের ওপর এ ধরনের হামলার আমরা নিন্দা করছি। আমরা ওই পড়ুয়াদের যন্ত্রণা অনুভব করতে পারছি ও তাঁদের সঙ্গে নিজেদের একাত্মতা খুঁজে পাচ্ছি, কারণ, পাকিস্তানেও পড়ুয়াদের ওপর এ ধরনের হিংসাত্মক আচরণ করা হয়’।
করাচির পড়ুয়ারা জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি দমনের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন।
জেএনইউ-তে হামলার পর ভারতে বলিউডের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী ও বিশিষ্ট নাগরিকরা পথে নেমেছেন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মাধ্যমে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের ওপর আক্রমণের নিন্দা তাঁরা করেছেন।