জয়ের পর প্রদত্ত ভাষণে তাঁর নীতি সংক্রান্ত প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন ৭০ বছরের ট্রাম্প। সৌজন্য দেখিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচনের প্রচারে এই হিলারির সঙ্গেই তাঁর দীর্ঘ লড়াই, বাকযুদ্ধের পর্ব পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন রিপাবলিকান ধনকুবের প্রার্থী। হিলারির প্রশংসা ঝরে পড়েছে তাঁর গলায়। তিনি বলেছেন, ‘হিলারি দারুন লড়াই করেছেন। দেশের জন্য তাঁর অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ’।
তাঁর প্রচারের প্রধান দফতরে যখন ট্রাম্প বক্তব্য রাখেন, তখন উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। স্ত্রী মেলানিয়া ও সন্তান এবং সঙ্গী মাইক পেন্সকে পাশে নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, এখন মতবিরোধের অবসান ঘটিয়ে আমেরিকার এক হওয়ার হওয়ার পালা।
তিনি বলেছেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বলছি যে, আমি সবার প্রেসিডেন্ট হব। আর এটা আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের জন্য কাজ করতে এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে যাঁরা অতীতে তাঁকে সমর্থন করেননি তাঁদেরও সাহায্য চেয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, পেনিসিলভানিয়ায় হারের খবর জানার পরই হার স্বীকার করে তাঁকে ফোন করেন হিলারি। আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সমর্থনও জানান হিলারি।
ট্রাম্প বলেছেন, এই জয় একটা আন্দোলন। আমেরিকার সমস্ত জাতি, ধর্ম, প্রেক্ষাপট এবং বিশ্বাসের সমর্থনে গড়ে উঠেছিল ওই আন্দোলন।
ট্রাম্প বলেছেন, অর্থনীতি সম্পর্কে তাঁর একটা বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর প্রশাসন দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার দ্বিগুণ করবে এবং বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি হয়ে উঠবে আমেরিকা।