নিউ ইয়র্ক: কাজ করার সময় ফেসবুক খুললেই চড় মেরে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য রীতিমতো অর্থ খরচ করে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থা থেকে এক মহিলাকে নিয়োগ করেছিলেন ওয়্যারেবল ডিভাইস সংস্থা পাভলকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মণীশ শেঠি। এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ীর এহেন পদক্ষেপে চমৎকৃত হন স্পেসেক্সের সিইও এলন মাস্ক। মণীশের ট্যুইটে তিনি প্রতিক্রিয়া জানান। তাতে অভিভূত পাভলকের সিইও।



মণীশ জানিয়েছেন, ‘আমি ২০১২ সালে কাজে আরও মন দেওয়ার জন্য একটি মেয়েকে নিয়োগ করি। আমি যখনই ফেসবুক খুলব, তখনই যাতে মেয়েটি আমার গালে চড় মারে, সে কথা বলে দিয়েছিলাম। এর জন্য কারা নামে মেয়েটিকে প্রতি ঘণ্টায় ৮ মার্কিন ডলার করে দিতে হত। আমার এই পদক্ষেপের ফলে দারুণ লাভ হয়।  আমার উৎপাদনশীলতা ৯৮ শতাংশ বেড়ে যায়।’


সম্প্রতি ট্যুইটারে মণীশের একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিতে দেখা যায়, তিনি কাজের সময় ফেসবুক খুলছেন আর কারা নামে মেয়েটি তাঁকে চড় মারছে। ৯ বছরের পুরনো এই ছবি এলন মাস্কের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি দু’টি আগুনের ইমোজি দেন। তাঁর এই প্রতিক্রিয়া ১০ হাজার ‘লাইক’ পায়। 


কর্মদক্ষতা উন্নতির জন্য কারাকেই যাবতীয় কৃতিত্ব দিচ্ছেন মণীশ। তিনি একটি ব্লগে লিখেছেন, ‘আমার গড় উৎপাদনশীলতা বেশিরভাগ দিনেই সাধারণত ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ থাকে। তবে কারা যখন আমার পাশে বসে থাকে, তখন আমার উৎপাদনশীলতা অনেক বেড়ে ৯৮ শতাংশে পৌঁছে যায়।’


মণীশের ট্যুইটার বায়োতে তাঁর সম্পর্কে লেখা আছে, ‘একজন গাপল বিজ্ঞানী, যাঁর লক্ষ্য হল প্রতিটি মানুষকে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে সাহায্য করা।’ এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও নিজের খ্যাতিকে সংস্থার প্রচারে কাজে লাগাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য চড় মারার দায়িত্ব দিয়ে কাউকে নিয়োগ করার বদলে একটি ওয়্যারেবল ডিভাইস তৈরি করেছে তাঁর সংস্থা। সেই ওয়্যারেবল ডিভাইস খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করে ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।