বেজিং: আগামী সপ্তাহে ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্ভবত দেখা হতে পারে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। কিন্তু জিয়ামেনের ওই মহাযজ্ঞে সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে মিত্র পাকিস্তানকে বাঁচাতে আগে থেকেই আসরে চিন।


আজ চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চ্যুনিং সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আমরা দেখেছি, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের ভূমিকার ব্যাপারে ভারতের উদ্বেগ আছে। কিন্তু এটা ব্রিকস মঞ্চে আলোচনার সঠিক বিষয় বলে আমার মনে হয় না।

সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের রেকর্ডের সম্প্রতি তীব্র নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রসঙ্গটি ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে উঠবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে চিনা মুখপাত্র সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ইসলামাবাদের অবদান আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকার করা উচিত বলে অভিমত জানান। বলেন, সন্ত্রাস দমন প্রয়াসে সামনের সারিতেই আছে পাকিস্তান। এজন্য বলিদানও দিয়েছে। এটা মাথায় রাখা উচিত বিশ্বের। চিন সন্ত্রাসবাদ রোধে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করতে পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। এতে সব পক্ষেরই স্বার্থরক্ষা হবে।

৩ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর হতে চলা ব্রিকস সম্মেলনের অবকাশে মোদী ও শি-র মুখোমুখি কথা হবে কিনা, এ প্রশ্নেরও সরাসরি জবাব দেননি তিনি। বলেন, বহুদেশীয় সম্মেলনে চলাকালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়াটাই রীতি। সময় থাকলে চিন এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।

তালিবানকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর চিন আমেরিকাকে বোঝানোর চেষ্টা করে, আফগানিস্তান সঙ্কট মেটাতে ইসলামাবাদের সমর্থন জরুরি। পাশাপাশি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও তার নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকেও মর্যাদা দেওয়া উচিত।