বেজিং: চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সর্ববৃহত্ প্রতিরক্ষা চুক্তি। পাকিস্তানকে ৮ টি অ্যাটাক সাবমেরিন দিচ্ছে চিন। সরকারিভাবে এ কথা জানাল বেজিং।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আরব সাগরে ওই সাবমেরিনগুলি মোতায়েন করতে পারে পাকিস্তান। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ভারতের স্বার্থের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতেই এই পদক্ষেপ নিতে পারে পাকিস্তান।

চিনা জাহাজ শিল্প সংক্রান্ত একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, চিনের শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন বেজিংয়ে একটি বৈঠকে বসে পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।পরে চিনের সামরিক বাহিনীর ওয়েবসাইটেও এই খবর প্রকাশিত হয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গোড়াতেই এই ৫ বিলিমন ডলারের সাবমেরিন ক্রয় চুক্তির কথা ইসলামাবাদ ঘোষণা করেছিল। যদিও এতদিন চিনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

চুক্তি অনুযায়ী, চারটি সাবমেরিন করাচি শিপইয়ার্ডে তৈরি হবে। বাকি চারটি তৈরি হবে চিনে।

চুক্তির খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করতে গত ১২ অক্টোবর বৈঠক করে চিনের শিপবিল্ডিং হেভি ইন্ডাস্ট্রি।

ডিজেল চালিত বৈদ্যুতিন প্রথম চারটি সাবমেরিন ২০২৩-র মধ্যে সরবরাহ করা হবে এবং বাকি চারটি ২০২৮-এর মধ্যে পেয়ে যাবে পাকিস্তান।

চিনের পিপলস লিবারেশ আর্মি-র টাইপ ৩৯ এ (যা টাইপ ৪১ নামেও পরিচিত) ইয়ুয়ান ক্লাস সাবমেরিনের সংস্করণই পাকিস্তানকে দেওয়া হতে পারে। এর গভীরতা ৩০০ মিটার।পাকিস্তানের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই সাবমেরিনগুলির অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েনের বিষয়টি স্থির হবে।

চিনের শিপবিল্ডিং হেভি ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান হু ওয়েনমিং জানিয়েছেন, বেজিংয়ের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই আটটি সাবমেরিন রফতানি করা হবে। এই উদ্যোগের অন্যতম স্তম্ভ পাকিস্তান। এই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে চিন পাকিস্তান পর্যন্ত একটি আর্থিক করিডোর তৈরি করেছে এবং গদ্বর বন্দরে লগ্নি করছে।