নয়াদিল্লি: ভারতের এনএসজি অন্তর্ভুক্তি বিরোধিতার কারণ হিসেবে এনপিটি সই না করাকে বারবার কারণ হিসেবে দেখিয়েছে চিন। নানা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা বড় গলায় বলেছে, অস্ত্র প্রসাররোধ চুক্তি স্বাক্ষর না করেও পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে কোনও দেশ প্রবেশাধিকার পেলে তা ওই চুক্তির মূল শর্তকে লঙ্ঘন করবে। অথচ তারাই এনপিটি-র নিয়মকানুন শিকেয় তুলে পাকিস্তানকে একাধিক পরমাণু চুল্লি সরবরাহ করেছে বলে খবর। আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বশেষ রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।


পাকিস্তান কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি বা আইএইএ-র রক্ষাকবচের আওতায় নেই। তা সত্ত্বেও তাদের পরমাণু চুল্লি সরবরাহ করার জন্য এনপিটি-র নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখাতে বেজিংয়ের বিন্দুমাত্র অসুবিধে হয়নি। এমনটাই জানাচ্ছে পরমাণু অস্ত্র ও নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন। রিপোর্টে তারা বলছে, ২০১৩-য় চাসমা-৩ পরমাণু চুল্লি সরবরাহ করা নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে চুক্তি করে বেজিং। এ জন্য আইএইএ-র আওতায় না আসা দেশগুলিকে পরমাণু অস্ত্র সরবরাহ করার ওপর এনপিটিতে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা ভেঙে ফেলতে দ্বিধা করেনি তারা। অথচ ভারতের যখন এনএসজি-র সদস্যপদ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়, তখন স্রেফ এই কথা বলে চিন ভেটো দেয়, যে, ভারত এনপিটি সই না করায় তাদের এনএসজি প্রবেশে অস্ত্র প্রসাররোধ চুক্তির মূল শর্ত লঙ্ঘিত হবে। ২০০০ সালে চিন কথা দেয়, কোনও দেশকে পরমাণু অস্ত্রবহনক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সাহায্য করবে না তারা। কিন্তু সে কথাও তারা রাখেনি। ফলে মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম বা এমটিসিআর-এ ভারত প্রবেশাধিকার পেলেও চিন এখনও তা পায়নি। তা ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি আমদানি, রফতানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও চিনা সরকার আন্তরিক নয় বলে আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে।