বেজিং: এবার থেকে চিনে জাতীয় সঙ্গীতের অপব্যবহার, অসম্মানের সাজা ১৫ দিনের কারাবাস। জাতীয় সঙ্গীতের অপব্যবহারকে অপরাধ বলে গণ্য করে কঠোর আইন পাশ হয়েছে।
চিনের জাতীয় সঙ্গীত 'মার্চ অব দি ভলান্টিয়ার্স' যেখানে সেখানে গাওয়া বা বাজানো যাবে না।
একমাত্র ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) শুরু ও সমাপ্তি সহ আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক সমাবেশের পাশাপাশি কূটনৈতিক অনুষ্ঠানের মতো বড় সরকারি কর্মসূচি পালনের সময়ই জাতীয় সঙ্গীত ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।
সরকার নিয়ন্ত্রিত চিনা সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া-র খবর, কারও অন্ত্যেষ্ঠির সময়, সঠিক পরিবেশ নেই, এমন ব্যক্তিগত, বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত ব্যবহার করা যাবে না, প্রকাশ্য স্থানে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসাবেও বাজানো যাবে না।
১ অক্টোবর থেকে চালু হবে নতুন আইন। বলা হয়েছে, যারা কুরুচিকর ঢঙে জাতীয় সঙ্গীতের বয়ান বিকৃত বা বদল ও তার অসম্মান করবে, তাদের ১৫ দিন আটক রাখা যাবে বা অপরাধী সাব্যস্ত করা যাবে।
জাতীয় সঙ্গীতকে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি স্তরের স্কুলে পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে সঠিক অনুষ্ঠানে তা গাইতে দেশবাসীকে উদ্ধুদ্ধ করতেও বলা হয়েছে।
জাতীয় পতাকা ও জাতীয় স্মারক রক্ষায় যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে আইন চালু হয়েছে চিনে। জিন ফুজাইয়ের মতো নামী সঙ্গীত পরিচালক বলেছেন, জাতীয় সঙ্গীত অন্যান্য গানের চেয়ে আলাদা, আমাদের দেশের প্রতীক। আইন চালু হওয়ার পর তা গাওয়া বা বাজানোর সময় লোকে আরও মনোযোগী হবে।