করাচি: গ্বদর বন্দর এবং অর্থনৈতিক করিডরের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানকে দুটি প্যাট্রলিং ভেসেল বা নজরদারি জাহাজ সরবরাহ করল চিন।


খবরে প্রকাশ, শনিবার পাক নৌসেনার হাতে এই দুটি জাহাজ তুলে দেওয়া হয়েছে। জাহাজগুলির মূল দায়িত্ব হবে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি)-র সমুদ্রপথের যৌথ নজরদারি চালানো এবং নিরাপত্তা প্রদান করা।


গ্বদরের নিরাপত্তার জন্য সেনার একটি নতুন ডিভিশন গঠন করেছে পাকিস্তান। গ্বদর শহরের নিরাপত্তার ভার ইতিমধ্যেই ওই নতুন ডিভিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।


গ্বদরের নিকটবর্তী দুই নদীহিঙ্গোল ও বাসোল-এর নাম অনুযায়ী জাহাজগুলির নামকরণ করা হয়েছে। গতকাল, জাহাজগুলি গ্রহণ করেন পাক নৌসেনার ভাইস অ্যাডমিরাল আরিফুল্লা হুসেনি।



গ্বদর বন্দরটি পাকিস্তানের হিংসা-কবলিত বালুচিস্তান প্রদেশ অবস্থিত। পশ্চিম চিন থেকে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপ হয়ে পাকিস্তান যোগাযোগকারী নির্মীয়মাণ সিপিইসি-র কথা মাথায় রেখেই এই বন্দরটি মূলত তৈরি করা হয়েছে।


জাহাজগুলিতে অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। পাক নৌসেনার আশা,  আরবসাগরে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এই ভেসেলগুলি। হুসেনি জানান, শীঘ্রই আরও ২টি জাহাজ পাক নৌসেনার হাতে তুলে দেবে চিন।


ওই জাহাজগুলির নামকরণও ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। বালুচিস্তানের দুই প্রদেশের নামানুসারে ওই রণতরীগুলির নাম রাখা হয়েছেদশ্ত এবং ঝব।


অতীতে, চিন বারবার অস্বীকার করেছে যে, গ্বদরে তারা রণতরী পাঠাবে না। কিন্তু, এদিনের ঘটনা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়াবে বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।


কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, চিন শুধু গ্বদর বন্দরটি পুনর্গঠন করেছে তাই নয়, বন্দরের অপারেশনাল কন্ট্রোল বা ব্যবহারের ক্ষমতা পুরোটাই বেজিংয়ের হাতে তুলে দিয়েছে ইসলামাবাদ।