বেজিং: অপূর্ব একটি ছবি পোস্ট করে বড়সড় বিতর্ক বাধিয়ে ফেলল চিন।

না, করোনা সংক্রান্ত কোনও খবর নয়। চিনের সরকারী খবরের চ্যানেল সিজিটিএন মাউন্ট এভারেস্টের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘শুক্রবার সূর্যের এক অদ্ভূত বলয় দেখা গিয়েছে মাউন্ট কোমোলাংগমা, যা মাউন্ট এভারেস্ট নামেও পরিচিত, তার ওপরের আকাশে। এটা চিন-তিব্বত স্বশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।’

ছবিটি তিব্বতের দিকের মাউন্ট এভারেস্টের ছবি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৬০ সালে নেপাল ও চিনের মধ্যে যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়, তাতে মাউন্ট এভারেস্টকে দুই দেশের মধ্যে ভাগ করা হয়। দক্ষিণ অংশ থাকবে নেপালের হাতে আর উত্তর দিক থাকবে চিন-তিব্বত স্বশাসিত অঞ্চলের আওতায়। যে অংশকে বরাবর নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে চিন।



দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের চিনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক শ্রীকান্ত কোন্ডাপালি সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়। চিন বরাবরই তিব্বত ও এভারেস্টের দখল পেতে মরিয়া।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘চিনের দিকের এভারেস্টের অংশ ভীষণ খাড়াই। তাই তিব্বতের দিকের অংশই বেশি ব্যবহৃত হয়। পর্যটন ব্যবসাও হয় মূল ওই অংশ থেকেই।’

পাশাপাশি এভারেস্টে ৫জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু করা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। পর্বতারোহীদের বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে এভারেস্ট জয় পর্বতারোহীদের জন্য আগের থেকে অনেক সুরক্ষিত হবে বলে দাবি চিনের। যদিও শ্রীকান্তের মতে, এতে হিমালয় পর্বতাঞ্চলে খবরদারি করার সুযোগ বাড়বে চিনের।