বেজিং: শীতেও ডোকলামে সেনা রাখবে চিন। তাদের দাবি, ওই জমি চিনা এলাকায় পড়ে। যদিও আগে শীত পড়লে আবহাওয়ার অবনতি হওয়ায় ভারত-চিন দুপক্ষই ওই এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিত।


ভুটান জানিয়েছে, ডোকলাম তাদের এলাকাভুক্ত। ভারতও সমর্থন করে সেই দাবি। কিন্তু এ বছরের মাঝামাঝি ডোকলামে জবরদস্তি করে একটি রাস্তা তৈরি শুরু করে চিন। সেই রাস্তা দিয়ে সহজে আটকে দেওয়া সম্ভব এ দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা, চিকেন নেক। পাশাপাশি ভুটানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ায় ভারত চিনা সেনার কাজে বাধা দেয়।  ৭৩ দিন ডোকলামে দু'দেশের সেনা মুখোমুখি থাকার পর ২৮ অগাস্ট মেটে বিরোধ। রাস্তা তৈরি বন্ধ করে চিন। যদিও সেনা তারা সরায়নি।

চিনা সেনা বা পিএলএকে প্রশ্ন করা হয়, এবার শীত পড়ে যাওয়ার পরেও কেন সেখানে বড় সংখ্যায় সেনা মোতায়েন রেখেছে তারা। জবাবে তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ডোকলাম তাদের জমি। তাই সেনা রাখা হয়েছে সেখানে। ফলে ভারতও এবার শীত পড়ে গেলেও ডোকলামের কাছেই মোতায়েন রেখেছে সেনা।

ডোকলাম অচলাবস্থার পর ১৭ নভেম্বর প্রথম ভারত-চিন সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দু’দেশ বৈঠকে বসে। ভারত-চিন সীমান্তের প্রতিটি সেক্টর নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়। বলা হয়, দু’দেশের মধ্যে বিশ্বাস বর্ধক পদক্ষেপ ও সেনা যোগাযোগ বাড়ানো হবে।