নয়াদিল্লি: এবার খোদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অরুণাচল প্রদেশ সফরে আপত্তি জানাল চিন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের অরুণাচল যাত্রায় এ মাসের গোড়ায় ক্ষোভ প্রকাশের পর কোবিন্দের সফর নিয়ে বেজিংয়ের মন্তব্য, চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যখন একটা 'গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে' রয়েছে, সেসময়ে ভারতের সীমান্ত বিতর্ক 'জটিল করে তোলা' উচিত নয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভারতীয় নেতার কার্যকলাপে প্রবল বিরোধিতা জানাচ্ছে চিন।
চিনের দাবি, অরুণাচল তিব্বতের দক্ষিণ অংশ। সেখানে ভারতীয় নেতারা পা রাখলেই চিনের তার বিরোধিতা করা রুটিন ব্যাপার হয়ে উঠেছে।
এশিয়ার দুই বৃহত্ শক্তি ২৮ আগস্ট শেষ হওয়া ৭৩ দিন ধরে চলা ডোকালাম বিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত দুদেশের সম্পর্ক মেরামতের প্রয়াস চালাচ্ছে একদিকে, তখনই রাষ্ট্রপতির অরুণাচল সফরের বিরোধিতা করল চিন। সামনেই নয়াদিল্লি সফরে আসছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। রাশিয়া-ভারত-চিন ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে থাকবেন তিনি, পাশাপাশি ১৯৬২-র যুদ্ধ থেকে চলতে থাকা সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত-চিন বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠকেও যোগ দেবেন।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং বলেন, চিন সরকার কখনই তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশকে স্বীকার করে না। সীমান্ত ইস্যুতে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট, ধারাবাহিক। আমাদের আশা, ভারত একই লক্ষ্যে এগবে, দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া বহাল রাখবে, সীমান্ত সমস্যা জটিল করা থেকে বিরত থাকবে, সীমান্ত আলোচনা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুষ্ঠু, স্থিতিশীল উন্নতি ঘটানোর ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, দু দেশই আলোচনা, মধ্যস্থতার পথে এই সমস্যা মেটানো ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, ন্যয্য সমাধানে পৌঁছনোর প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। চূড়ান্ত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সব পক্ষকেই শান্তি, স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে কাজ করা উচিত।
যদিও ভারত এর আগেই বেজিংয়ের আপত্তি খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছে, অরুণাচল তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অরুণাচল কেন, ভারতের নেতাদের দেশের যেখানে খুশি যাওয়ার অধিকার আছে।