নয়াদিল্লি: আফ্রিকার দু’টি দেশ জাম্বিয়া ও জিম্বাবোয়ে থেকে হাতির দেহাংশ আমদানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সচিব রায়ান জিনকেকে চিঠি দিল ভারতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

২০১৪ সালে বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার জিম্বাবোয়ে ও জাম্বিয়া থেকে হাতির দেহাংশ আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই নিষেধাজ্ঞাই প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলি। তাদের দাবি, এর ফলে চোরাশিকার বাড়বে। সমালোচনার মুখে ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রাণী সংরক্ষণ সংক্রান্ত সব বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য জিম্বাবোয়ে ও জাম্বিয়া থেকে হাতির দেহাংশ আমদানির সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে।

জিনকেকে লেখা চিঠিতে ভারতের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা কার্তিক সত্যনারায়ণ বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত নয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে যে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তার কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্ত নেই। ভারতে হাতির দেহাংশ আমদানি নিষিদ্ধ। বন্যপ্রাণ রক্ষার জন্য অনেক বৈজ্ঞানিক উপায় আছে।’

ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস-এর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাখার আধিকারিক নিকি শার্প বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণায় আমরা সবাই হতবাক। যারা হাতি সংরক্ষণের জন্য কাজ করছেন, এটা তাঁদের অপমান। এই ঘোষণায় চোরাশিকার বাড়বে। ফলে হাতিদের বেঁচে থাকা কঠিনতর হয়ে যাবে।’