বেজিং: ভারতে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ নতুন করে ভয় দেখাচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু ২০১৯-এ যে দেশ থেকে করোনা (Covid19) ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে, সেই চিনেই নতুন করে করোনা সংক্রমণে উদ্বিগ্ন সে দেশের সরকার। দক্ষিণ চিনের (China) টেক হাব বলা হয় শেনজেনকে (Shenzhen)। সেখানে রবিবার দিন থেকেই ঘোষণা করে দেওয়া হল ফের লকডাউন। যার ফলে প্রায় ১৭ মিলিয়ন মানুষ নতুন করে লকডাউনের আওতায়। সম্প্রতি ৬৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কথা জানা গিয়েছে। আর তারপরই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন। শেনজেনে বিশ্বের জনপ্রিয় টেক কোম্পানিগুলোর অফিস রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হুয়েই এবং টেনসেন্ট। শেনজেনে লকডাউন ঘোষণা করার ফলে ১৭ মিলিয়ন মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। এর ফলে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কিছুতেই বাইরে বেরতে পারবে না মানুষ। উপায় নেই রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবার খাওয়ারও। সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। 



প্রসঙ্গত, ভারতে করোনার চতুর্থ (COVID Fourth Wave) ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত আপাতত নেই। কিন্তু পড়শি দেশ চিনের (Coronavirus in China) পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে সেখানে। করোনার অতি সংক্রামক রূপ ওমিক্রন (COVID Variant Omicron) থেকেই নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। দেশের উত্তর-পূর্বের চাংচুনেই সংক্রমণের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি এই মুহূর্তে। প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষের বাস সেখানে। বিপদ এড়াতে তাই আগেভাগেই সেখানে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি দু’দিন অন্তর খাবার এবং নিত্য প্রয়োজনের জিনিস কিনতে পরিবারের এক জন সদস্যেরই বেরনোর অনুমতি রয়েছে। একই সঙ্গে চাংচুনে তিন দফায় করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ এক বার, দু’বার নয়, তিন তিন বার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে প্রত্যেক নাগরিককে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া আপাতত অন্য সব ব্যবসা, পরিবহণ বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে। স্কুল, সরকারি-বেসরকারি দফতর বন্ধ রাখা হয়েছে শাংহাইয়ে। সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী জিলিনেও।