বেজিং: ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঙ্কারের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যাশা মতোই পাকিস্তানের পাশে চিন। পাকিস্তানের হয়ে আসরে নেমে চিনের দাবি, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের 'অসামান্য অবদান' স্বীকার করা উচিত গোটা বিশ্বের।
গতকাল ট্রাম্প ট্যুইট করেন, আমেরিকা বোকার মতো গত ১৫ বছরে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দিলেও পাকিস্তান আমাদের ঠকিয়েছে, মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই দেয়নি। আমাদের নেতাদের বুদ্ধু মনে করেছে। আফগানিস্তানে সামান্য সাহায্য নিয়ে আমরা যে সন্ত্রাসবাদীদের আমরা খুঁজেছি, ওদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। তবে আর নয়।
পাল্টা চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে বিরাট প্রয়াস চালিয়েছে, বলিদান দিয়েছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদ দমনের আন্তর্জাতিক উদ্যোগে অসাধারণ অবদান ওদের। তাকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত গোটা দুনিয়ার। তিনি বলেছেন, এটা দেখতে ভাল লাগে যে, পাকিস্তান পারস্পরিক মর্যাদার ভিত্তিতে সন্ত্রাস দমন সহ আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় সামিল হচ্ছে, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতাকে জোরদার করছে। চিন ও পাকিস্তান সব সময়ের বন্ধু। আমাদের সার্বিক উন্নয়ন বাড়াতে, দুপক্ষেরই যাতে ফায়দা হয়, সেজন্য আমরা তৈরি।
প্রসঙ্গত, ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পের আওতায় চিন পাকিস্তানে বিপুল বিনিয়োগ করছে। করিডরটি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে বলে এই প্রকল্পে প্রবল আপত্তি জানায় ভারত।
গত সপ্তাহে চিন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীদের প্রথম ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ওই করিডর প্রকল্পকে আফগানিস্তানে সম্প্রসারিত করা হবে বলে ঘোষণা করে বেজিং। ঘটনাচক্রে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের খুব ভাল সম্পর্ক। আফগানিস্তানও পাকিস্তানকে তালিবান জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ায় অভিযুক্ত করছে, যার জেরে বিরোধ চলছে দুটি দেশের। চিন ত্রিপাক্ষিক কাঠামোর মাধ্যমে দু দেশের বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করছে।
পর্যবেক্ষক মহলের মত, আমেরিকা চাপ বাড়াচ্ছে পাকিস্তানের ওপর। কেননা পাকিস্তান হাত মিলিয়েছে চিনের সঙ্গে, সিপিইসি করিডর প্রকল্পে চিনকে বিপুল বিনিয়োগের অবাধ ছাড়পত্র দিয়েছে। আর ওই প্রকল্পের হাত ধরে আরব সাগর, ভারত মহাসাগরের দরজা খুলে যাবে চিনের সামনে।