ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে গত মাসে ধর্ষিতা হিন্দু মহিলাকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে নির্দেশ আদালতের। পাক সংবাদপত্র দি ডন-এর খবর, মহিলাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য।
উমেরকোটের কুনরি এলাকায় ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাটি তাত্ক্ষনিক বিবেচনায় রেখে সিন্ধ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আহমেদ আলি এম শেখ নিগৃহীতা ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মিরপুরখাসের ডিআইজি ও উমেরকোটের পুলিশ সুপারকে। ধর্ষণে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে।
গতকালই উমেরকোটের এসপি ইজাজ বাজওয়া আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানান, মিরপুরখাসের ডিআইজি তাঁর তদারকিতে একটি কমিটি গড়েছেন। কমিটিকে ঘটনার নিরপেক্ষ, ন্যায্য তদন্ত করতে বলা হয়েছে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, নাবিসার থানায় ঘটনার ব্যাপারে এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এক সন্দেহভাজনকে। কুনরি তালুকের হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে কৃষকের মেয়ে ওই ধর্ষিতার। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওযা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট এসএইচও-কে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এসপি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন আগেই জানায়, সিন্ধ প্রদেশে গড়ে প্রতি মাসে ২০-২৫টি হিন্দু মেয়েকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়।