লাহোর: মার্কিন প্রেসিডেন্টের তীব্র হুঁশিয়ারি ও আমেরিকার সামরিক সাহায্য আটকে যাওয়ার দিন নড়েচড়ে বসল পাকিস্তান। মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের পরিচালিত সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশনের অনুদান সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা জারি করল পাক সরকার। পাকিস্তানের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্চ কমিশন (এসইসিপি) নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈবার মুখোশ সংগঠন জামাতের অনুদান সংগ্রহের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা কর্তৃক নিষিদ্ধ অন্যান্য গোষ্ঠী ও ব্যক্তির ওপরও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
জামাত ছাড়াও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে লস্করকেও। এসইসিপি-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জামাত, লস্কর ছাড়াও ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশন ও পাসবান-ই-কাশ্মীর সহ অন্যান্য সংগঠনগুলি অনুদান হিসেবে অর্থ আদায় করতে পারবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হলে প্রচুর পরিমাণ আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে।
২০১৭-র জানুয়ারিতে জামাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু করে পাকিস্তান। হাফিজকে গৃহবন্দী করা হয়। কিন্তু গত নভেম্বরে লাহৌর হাইকোর্টের নির্দেশের পর হাফিজকে গৃহবন্দী দশা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পাক সরকার জামাত ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে বলেও খবর। এর প্রতিক্রিয়ায় জামাতের এক মুখপাত্র বলেছেন, এমনটা হলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। গোষ্ঠীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া মুজাহিদ বলেছেন, লাহোর হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী জামাত ও ফাউন্ডেশেন তাদের কল্যাণমূলক প্রকল্প চালিয়ে যেতে পারে। এরপরও ভারতকে তুষ্ট করতে পাক সরকার তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছে বলে দাবি করেছেন মুজাহিদ।
মুম্বই হামলার পিছনে থাকা জঙ্গি সংগঠন লস্করের মুখোশ হাফিজের জামাত-উদ-দাওয়া। ২০১৪-র জুনে আমেরিকা জামাতকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হলে ঘোষণা করে।