নয়া দিল্লি: সম্প্রতি চিনে (China) ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। কিন্ত সেই সংক্রমণের জেরে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ্যে আসছে না বলেই জানান হয়েছে। বেজিং (Beijing) মৃত্যুর কারণকে আড়াল করার চেষ্টা করছে, এমনটাই একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে।
তাইওয়ান (Taiwan) নিউজের তরফে জানান হয়েছে, যদি কেউ কোভিড সংক্রামিত হওয়ার পরে মারা যায় তবে সে সময়ে ক্যান্সার (Cancer), হৃদরোগ বা ডায়াবেটিস (Diabetes) ছিল কি না সেগুলিও দেখা হওয়ার কথা। যেগুলিকে কো-মর্বিডিটি বলা হয়। যদিও চিনা হাসপাতালগুলি এই নিয়ম মানছে না। কোমর্বিডিটি থাকলে কোভিডে মৃত্যু হলে তা কোমর্বিডিটিতে মৃত্যু হিসেবেই ধরা হচ্ছে। করোনায় মৃত্যু হিসেবে নয়, এমনটাই দাবি।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট জিন ডং-ইয়ান এই ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "এই সংখ্যা সঠিক নয়। তবে সাংহাই হাসপাতালগুলি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি করছে না। শুরু থেকেই চিনে মৃত্যুর রেকর্ড করার এই পদ্ধতি ছিল।" সে দেশে পয়লা মার্চ থেকেই বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত ৪৪টি চিনা শহরে লকডাউন হয়েছে।
আরও পড়ুন, বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে মোদির উপস্থিতি নিয়ে সংশয়
সাংহাইয়ের পৌর স্বাস্থ্য দফতর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, মার্চ মাস থেকে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে সেখানে। মার্চ মাসের পর থেকে শহরে বর্তমানে নয়জন করোনা রোগীর অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। এই ৯জনের মধ্যে ৮ জনের বয়স অনেকটাই বেশি বলে খবর। জানা গিয়েছে তাদের বয়স ৭০-৯৩ এর মধ্যে। এঁরা সকলেই গুরুতর রোগে আক্রান্ত। সেইসঙ্গে এদের কাউকেই করোনার টিকা দেওয়া হয়নি বলেও জানা গিয়েছে।
গত মার্চ মাস থেকে সাংহাইতে কঠোর বিধি-নিষেধ বলবৎ রয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ দেখা যাচ্ছে না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্ত্বেও কমছে না আক্রান্ত। সংক্রমনের রূপ দেখে বোঝাই যাচ্ছে সাংহাই করোনার ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।