মারিউপোল, ইউক্রেন : দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। ২৪ ফেব্রুয়ারি আগ্রাসনের পর ইউক্রেনের অন্যতম বড় শহর মারিউপোলের (Mariupol) দখল নিতে চলেছে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে এই শহরে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ইউক্রেনের মুষ্টিমেয় বাহিনীকে অস্ত্র নামিয়ে রাখতে বলল রাশিয়া। তাতে প্রাণহানি হবে না বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।


রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, মারিউপোলের শহরতলি এলাকা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ইউক্রেনের মুষ্টিমেয় কয়েকজনের বাহিনী প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা অস্ত্র নামিয়ে রাখবেন, তাঁদের প্রাণহানি হবে না। 


যদিও এনিয়ে ইউক্রেনের তরফে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। একটি নিউজ পোর্টালকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, মারিউপোলের অবস্থা খুবই কঠিন। আমাদের সেনাদের ঘিরে ফেলা হয়েছে। আহতদের ঘিরে রাখা হয়েছে। মানবতার সঙ্কট দেখা দিয়েছে সেখানে। তা সত্ত্বেও ওখানে থাকা বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।


প্রসঙ্গত, দেড়মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাজধানী কিভের আশপাশের এলাকা থেকে ৯০০-রও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ইউক্রেনীয় পুলিশের দাবি, পথচারীদের অকারণে গুলি করে মেরেছে রুশ সেনা। গত পরশু খারকিভের কাছে বাসে রুশ হামলার অভিযোগ ওঠে। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের, আহত ২৭। মারিউপোলে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে মস্কোর বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী যুদ্ধে নিহত ৩ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা, আহত ১০ হাজারের বেশি।


এদিকে রাশিয়ার হামলার মুখে ফেব্রুয়ারির গোড়া থেকে এ পর্যন্ত লক্ষাধিক শিশুকে নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে তাদের পরিবার। এরই মধ্যে লিভ-সহ কোনও কোনও শহরে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে ইউক্রেনের শিক্ষা মন্ত্রক। কোথাও কোথাও স্কুলগুলিকে যুদ্ধপীড়িতদের আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।মারিউপোলের মতো বিধ্বস্ত শহরে স্কুলের মাঠে মৃতদেহ সৎকার পর্যন্ত করতে হয়েছে ইউক্রেনীয় প্রশাসনকে।