নয়া দিল্লি: চিনের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিও এবার হার মানতে বাধ্য হলেন নিয়তির কাছে। ১৩৫ বছরে থামল জীবনের সব লড়াই। চিনের `Longevity Town` শহরে বসবাসকারী ওই মহিলার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানান হয়েছে দেশের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলার জিনজিয়াং উইঘুর প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে। 


স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, "চিনের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি আলমিহান সেয়িতি ১৬ ডিসেম্বর ১৩৫ বছর বয়সে কাশগরে মারা যান।" প্রসঙ্গত, ১৮৮৬ সালের ২৫ জুন আলমিহান সেয়িতি জন্মগ্রহণ করেন Komuxerik Township-এ। এই এলাকাটি কাউন্টির কোমুক্সেরিক টাউনশিপের অন্তর্গত। 


সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই Komuxerik Township- এ বেশিরভাগ মানুষই বয়স্ক। সেখানে প্রায় অধিকাংশের বয়স ৯০ বছরের বেশি। এই এলাকাটিকে তাই "longevity town" নামে ডাকা হয়। ২০১৩ সালে চায়না অ্যাসোসিয়েশন অফ জেরোন্টোলজি অ্যান্ড জেরিয়াট্রিক্স আলমিহান সেয়িতিকে দেশের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। 


সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, আলমিহান সেয়িতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি গান গাইতে খুব ভালবাসতেন। অনেকসময় রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতেন। সবসময়ই খুশি এবং হাসিখুশি থাকতেন সেয়িতি। সেটাই কি তাঁর ১৩৫ বছর ধরে বেঁচে থাকার নেপথ্যের কারণ?                            


এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নাম উঠেছিল পুয়ের্তো রিকোর এমিলিও ফ্লোরেস মারকেজের। বর্তমানে তার বয়স ১১২ বছর। খুব শিগগিরই তিনি ১১৩ বছরে পদার্পন করবেন। বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি (পুরুষ) জীবিত হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছে তার।


এখনও সুস্থভাবে জীবন উপভোগ করছেন। জীবনে প্রচুর কষ্ট করেছেন তিনি। পরিবারের সবার মুখে খাবারের যোগান দিতে দিন-রাত কৃষিকাজ করেছেন। তবুও ক্লান্ত হয়ে পড়েননি। হাসিমুখে ও ভালোবেসে পরিবারের সবার দায়িত্ব ঘাড়ে তুলে নিয়েছেন। তার মতে, ‘ভালোবাসা এবং ভালো কাজের বিনিময়েই ১১২ বছর বেঁচে আছি!’