নয়াদিল্লি ও বেজিং: সিকিম সেক্টরের ডোকলামে অচলাবস্থার অবসানে কার্যত যুদ্ধের হুমকি শোনা গেল চিনের মুখে। ভারত কথা না শুনলে সামরিক রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হতে পারে চিন। সেদেশের বিশেষজ্ঞরা এমনই হুঙ্কার ছেড়েছেন।


ভারতে নিযুক্ত চিনা দূতও ঘুরিয়ে কার্যত এমনই হুমকি দিয়েছেন। চিনা দূত লুও ঝাওহুই বলেছেন, বল ভারতের কোর্টে। অচলাবস্থার অবসানে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সে বিষয়ে ভারত সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ডোকলাম এলাকায় তিন সপ্তাহ ধরে অচলাবস্থা বজায় রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এর আগে সংঘাতের মনোভাব এতটা সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এই অবস্থায় চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ও থিঙ্কট্যাঙ্কগুলি সতর্ক করে দিয়ে বলছে, ভারত ও চিন সমস্যার সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে না পারলে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাংহাই অকাদেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের এক গবেষক হু ঝিইয়ং দাবি করেছেন, চিন ভারতের কাছে ইতিহাস সংক্রান্ত যুক্তি তুলে ধরেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করতে চাইছে।কিন্তু ভারত কথা না শুনলে সমস্যার সমাধানে চিনের সামরিক পথ গ্রহণ করা ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না।

উল্লেখ্য, ডোকলামে গত ৬ জুন অচলাবস্থার সূত্রপাত। ভারত-চিন-ভুটান সীমান্তের সংযোগস্থলে ডোকলাম এলাকায় চিন রাস্তা নির্মাণ করতে চাইলে সমস্যার সূত্রপাত হয়।

চলতি সমস্যা নিয়ে চিনা দূত বলেছেন, চিন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমধান চায়। কিন্তু এজন্য পূর্বশর্ত হিসেবে ভারতকে ওই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। লুও ঝাওহুই বলেছেন, পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।