বেজিং: অতিমারির (Pandemic) সূচনার পর কাটতে চলেছে তিন বছর। কিন্তু উদ্বেগের আবহ কাটছে না চিনে (COVID in China)। নতুন করে হু হু করে সেখানে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ (COVID Cases)। শনিবার সেখানে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ (Novel Coronavirus) ধরা পড়েছে ৩৯ হাজার ৭৯১ জনের শরীরে। এর মধ্যে বড় অংশের কোনও উপসর্গই (Assymptomic) ছিল না, ৩৬ হাজার ৮২ জনের। উপসর্গ ছিল মাত্র ৩ হাজার ৭০৯ রোগীর।


উদ্বেগের আবহ কাটছে না চিনে, হু হু করে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ


এই নিয়ে পর পর বেশ কয়েক দিন ধরেই চিনে দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের উপরে রয়েছে। চিনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন প্রদত্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এর আগের দিন চিনে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩৫ হাজার ১৮৩। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৭০৯ রোগীর কোনও উপসর্গ ছিল না। উপসর্গ ছিলস মাত্র ৩ হাজার ৪৭৪ জনের।


নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে কারণ, অধিকাংশেরই বিদেশযাত্রার রেকর্ড নেই। অর্থাৎ দেশের অন্দরে থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা, বাইরে থেকে বয়ে আনেননি সংক্রমণ। শনিবার সেখানে এক করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। তাতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৩৩। এখনও পর্যন্ত চিনের মূল ভূখণ্ডে উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭ হাজার ৮০২।


আরও পড়ুন: Free Flight Tickets: ট্রেনের ওয়েটিং টিকিট কনফার্ম না হলে পাবেন ফ্রি ফ্লাইটের টিকিট, এই অ্যাপে সুবিধা


চিনের মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। সেই তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ খুব একটা আতঙ্কের নয় বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু অতিমারি নিয়ে এখনও কড়া বিধি-নিষেধ রয়েছে দেশের একাধিক অঞ্চলে। বেজিং-এও কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই দৈনিক ৩০ হাজারের বেশি মানুষের সংক্রমণে কাজকর্ম ফের বন্ধ হতে পারে ভেবে আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। নতুন করে কোয়ারান্টিন করা হতে পারে, বাইরে বেরনো নিষিদ্ধ হলে কী হবে, ভেবে আতঙ্কে রয়েছেন সকলে।


করোনা সংক্রমণের জেরে উদ্ভুত অতিমারি তিন বছরের সময়কাল পূর্ণ করতে চলেছে। তার পরও লকডাউন, নিভৃতবাস না ওঠায় চিনের নাগরিকরাও হতোদ্যম হয়ে পড়েছেন। তার জেরে জায়গায় জায়গায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভও মাথাচাড়া দিচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে, বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির উৎপাদনক্ষমতা ফের ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সকলে।


কাজকর্ম ফের বন্ধ হতে পারে ভেবে আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ


তবে এই আশঙ্কা যে একেবারেই অমূলক নয়, তার ইঙ্গিতও মিলছে। কারণ দীর্ঘ বিধি-নিষেধের জেরে চিনবিমুখ হয়ে পড়েছে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা, যারা এতদিন উৎপাদনের জন্য বেজিংয়ের উপর নির্ভরশীল ছিল। বিপুল ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।