উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই ভারতের অগ্নি ৫ ক্ষেপনাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উতক্ষেপণ ঘিরে সরব হয়েছিল চিন। ভারতের ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র কর্মসূচীর তীব্র সমালোচনা করেছিল বেজিং। বেজিং দাবি করেছিল, ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ করেছিল বেজিং।
এবার সেই চিনই পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র উত্পাদনের বিষয়টি বিবেচনা করছে। চিনের সংবাদমাধ্যম গতকাল জানায় যে, ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র, বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র, যুদ্ধজাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র ও যুদ্ধ ট্যাঙ্ক উত্পাদনের বিষয় পাক সেনা প্রধানের সফরের সময় আলোচ্যসূচীর মধ্যে রয়েছে।
পিপলস লিবারেশন আর্মি-র প্রাক্তন এক আধিকারিক গ্লোবাল টাইম-কে বলেছেন, যুদ্ধবিমান যৌথভাবে তৈরির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
গতকাল পাক সেনাপ্রধান কামার বাজওয়া চিনের শীর্ষ সামরিক আধিকারিক ফ্যাং ফেংগুইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। চিন বর্তমানে চিন-পাকিস্তান আর্থিক করিডোরকে অত্যন্ত অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছে। এই করিডোরের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান।
জানা গেছে, করিডোরের সঙ্গে যুক্ত চিনের কর্মী ও প্রকল্প রক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন বাজওয়া। করিডোরের নিরাপত্তায় ১৫ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠন করেছে পাকিস্তান। দায়িত্বভার গ্রহণের পরই ওই নিরাপত্তা বাহিনীর দফতরে গিয়েছিলেন বাজওয়া।
গতকাল দুই পক্ষই সন্ত্রাস মোকাবিলায় সহযোগিতা গড়ে তোলার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছে।