বেজিং: পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় সিআরপিএফ জওয়ানদের মৃত্যুতে দুপক্ষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা, অনাস্থার আবহে ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম দেখাতে বলল চিন। যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে দুপক্ষকে নিজেদের যাবতীয় বিরোধ মিটিয়ে নিতেও বলেছে চিন।
পুলওয়ামার আত্মঘাতী হামলার জেরে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত, পাকিস্তান। দুপক্ষই পরস্পরের দেশে নিযুক্ত নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের ‘আলোচনা’র জন্য দেশে তলব করেছে। হামলার দায় নিয়েছে জয়েশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠী যারা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট। এই ইস্যুতে গত শুক্রবার পাকিস্তানকে দেওয়া সবচেয়ে পছন্দের দেশের মর্যাদা (মোস্ট ফেভারড নেশন) প্রত্যাহার করে ভারত, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে এ দেশে আসা পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ আমদানি শুল্কও বৃদ্ধি করে।
এই প্রেক্ষাপটেই চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শ্যুয়াং বেজিংয়ে বলেন, পাকিস্তান ও ভারত, উভয়েই দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতার স্বার্থেই দুটি দেশের মধ্যে স্থিতিশীল দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া থাকা জরুরি। দক্ষিণ এশিয়ায় সামগ্রিক ভাবে স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে যাকে পুষ্ট করা, বহাল রাখা উচিত সব পক্ষের। পাকিস্তান ও ভারত সংযম দেখাবে, আলোচনায় সামিল হবে, যত শীঘ্র সম্ভব প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলির শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করে ফেলতে পারবে বলে চিন আশা করছে।
সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সদ্যসমাপ্ত ইসলামাবাদ সফরে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের সৌদি বিনিয়োগের যে বোঝাপড়া-চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সে প্রসঙ্গে চিনা মুখপাত্রটির প্রতিক্রিয়া, চিন এতে আনন্দিত যে, সৌদি আরব সহ অন্য দেশগুলির সঙ্গেও পাকিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদান, সহযোগিতা রয়েছে।