মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এই বক্তব্য স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে পারেনি চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। তাদের অভিযোগ, ভারত ও চিনের মধ্যে সামরিক সংঘাত উসকে দিতে চাইছে ওয়াশিংটন।
গ্লোবাল টাইমস-এর অবজার্ভার সেকশনে বুধবার প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, যেখানেই সংঘাত দেখা যায়, সেখানে আমেরিকা ঝাঁপিয়ে পড়ে। সমস্যা সমাধানের স্বার্থে আমেরিকা কখনওই নিরপেক্ষ মনোভাব পোষণ করেনি। এক্সামিনার-এ প্রকাশিত নিবন্ধের উল্লেখ করে গ্লোবাল টাইমসে লেখা হয়েছে, ওই নিবন্ধ প্রত্যাশিতভাবেই চিন সম্পর্কে আশঙ্কার বিষয়টি ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের গুণগান করা হয়েছে।
এরপর চিনা সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, এক্সামিনার-এর নিবন্ধে এই পক্ষপাতিত্বে ওয়াশিংটনের অবস্থানেরই প্রতিফলন ঘটেছে।
গ্লোবাল টাইমসে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগর ইস্যুতে ওয়াশিংটন যে অবস্থান নিয়েছে তা ডোকলাম ইস্যুতে ভারতকে সমর্থনে সেই অবস্থানেরই প্রতিফলন ঘটেছে।
চিনের সংবাদমাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, কিছু পশ্চিমী শক্তি ভারত ও চিনের মধ্যে সামরিক সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে। কারণ, এর থেকে নিজেদের ক্ষতি না করেও তারা কৌশলগত ফায়দা তুলতে পারবে। দক্ষিন চিন সাগর বিতর্কে একই কৌশল অবলম্বন করেছে আমেরিকা।
চিনা সংবাদমাধ্যম নয়াদিল্লির প্রতি ওয়াশিংটনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে। একইসঙ্গে তারা দাবি করেছে যে, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের প্রতি খুব একটা মনোযোগ নেই ট্রাম্প প্রশাসনের। বাণিজ্য ও অভিবাসন নিয়ে দুটি দেশের মতপার্থক্য রয়েই গিয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসের নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধে আমেরিকা ও পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘অদৃশ্য হাত’ ছিল।
এর পাশাপাশি নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার ক্ষেত্রে চিনকে কোনও শক্তিই প্রতিহত করতে পারবে না।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ভারত-চিন সংঘাত থেকে আমেরিকা কোনওভাবেই লাভবান হতে পারবে না। মার্কিন হস্তক্ষেপের কারণে চিন তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা থেকে পিছু হঠবে না।