জি আরও বলেছেন, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র নেতৃত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে পিএলএ-কে। সিপিসি-র দেখানো পথেই হাঁটতে হবে।
জি তাঁর ভাষণে অবশ্য সিকিম সেক্টরের ডোকালামে মাসাধিককাল ধরে চলতে থাকা ভারত ও চিনের অচলাবস্থার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। কিন্তু ডোকালামে অচলাবস্থা ঘিরে চিনের সরকারি গণমাধ্যম আক্রমণাত্মক প্রচার চালাচ্ছে। চিনের বিদেশ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক অভিযোগ করে আসছে যে, ভারতীয় বাহিনী ডোকলামে চিনের ভূখণ্ডে অনধিকার প্রবেশ করেছে। এরই মধ্যে চিনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, অনুপ্রবেশকারী শত্রুদের পরাস্ত করতে সক্ষম পিএলএ। এ ব্যাপারে বাহিনী সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী বলেই তাঁর বিশ্বাস।
পদাধিকারবলে চিনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের প্রধান জি। পিএলএ-র সার্বিক কর্তৃত্ব ন্যস্ত রয়েছে কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের হাতেই।
৯০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে পিএলএ। সামরিক পোশাক পরিহিত জি ইনার মঙ্গোলিয়ায় চিনের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি ঝুরিহে সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। কুচকাওয়াজে অংশ নেয় চিনের সেনা ও বায়ুসেনা। বেশ কিছু আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রেরও প্রদর্শন করা হয় কুচকাওয়াজে।
অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণে জি বলেছেন, শক্তিশালী বাহিনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নয়া অধ্যায় রচনার আত্মবিশ্বাস ও ক্ষমতা চিনের সামরিক বাহিনীর রয়েছে। একইসঙ্গে চিনের পুনর্জাগরণের স্বপ্ন সফল করা এবং বিশ্বশান্তি সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম পিএলএ।
চিনের প্রেসিডেন্ট তাঁর ভাষণে বলেন, বাহিনীকে দক্ষতা আরও বাড়তে হবে এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা ও সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক করতে হবে।