ওয়াশিংটন: আগামী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাকে বেছে নেবেন মার্কিন জনতা? এই প্রশ্নের সমাধান চেয়েই ভারতীয় সময় মঙ্গলবার ভোর থেকে মুখোমুখি বিতর্কপর্ব শুরু করলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। কর্মসংস্থা, কর, সন্ত্রাসবাদ- সব কিছু নিয়েই দীর্ঘ বিতর্ক করলেন তাঁরা। ভোটপ্রচারে নেমে গত কয়েক মাস ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে টানা আক্রমণ শানিয়েছেন ট্রাম্প ও হিলারি। হেম্পস্টেডের হোফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম একে অপরের বিরুদ্ধে মুখোমুখি যাবতীয় অভিযোগ কয়েককোটি আমেরিকানের সামনে উগরে দিলেন তাঁরা।

দেড় ঘণ্টার লড়াই মাঝে মধ্যেই ব্যক্তিগত হয়ে পড়েছে, ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছেন, অল্পদিন আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হিলারির শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে। জবাবে হিলারি তুলে এনেছেন ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্ন সংক্রান্ত বিতর্ক। ৭০ বছরের কোটিপতিও ছাডার পাত্র নন, মন্তব্য করেছেন, ওবামা প্রশাসনের প্রথম দফায় বিদেশ সচিব থাকাকালীন হিলারি ব্যক্তিগত ইমেল অ্যাকাউন্ট থেকে যে ৩৩,০০০ সরকারি ইমেল করেন, তার যাবতীয় তথ্য ফাঁস করলে নিজের ট্যাক্স রিটার্নের খবর দেবেন তিনিও।

এছাড়াও জাতিতত্ত্ব, কর ও দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্ক হয় প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব ও প্রাক্তন রিয়্যালিটি টিভি তারকার। দু’জনেই বোঝানোর চেষ্টা করেন, কেন দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনিই যোগ্যতম। হিলারি অভিযোগ করেন, ট্রাম্প ‘নারী বিদ্বেষী’, দেশপ্রধান হওয়ার মত স্ট্যামিনা তাঁর নেই বলে ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন, তাও অস্বীকার করেন তিনি। তাঁর জবাব, ট্রাম্প আগে তাঁর মত ১১২টি দেশ সফর করুন, একটি শান্তিচুক্তি, যুদ্ধবিরতির পিছনে ভূমিকা নিন- অন্তত ১১ ঘণ্টা কংগ্রেস কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিন- তারপর তিনি তাঁর স্ট্যামিনা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবেন।

বারাক ওবামা আমেরিকার ‘জন্মসূত্রে স্বাভাবিক নাগরিক’ নন বলে ট্রাম্প ‘জাতিবিদ্বেষী মিথ্যে’ বলেন করেন বলেও হিলারি অভিযোগ করেন। উল্টোদিকে ট্রাম্পের অভিযোগ, হিলারির অভিজ্ঞতা হয়েছে ঠিকই কিন্তু পুরোটাই বাজে অভিজ্ঞতা। তাঁর আরও অভিযোগ, চিন সহ বেশ কিছু দেশের পুনর্গঠনের জন্য আমেরিকাকে পিগি ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমেরিকা থেকে চাকরি ‘চুরি’ করে এইসব দেশে পাচার করা হচ্ছে বলে তাঁর দাবি।