ইসলামাবাদ: বেশ কয়েক লক্ষ টাকার বিল বকেয়া। সেজন্য ইসলামাবাদে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুবিশাল দফতরের বিদ্যুত্ সংযোগ ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে একটি বিদ্যুত কোম্পানি। আর্থিক সংকটে জর্জরিত পাক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিদ্যুতের মিল মেটানোর ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতা নিঃসন্দেহে ইমরানের কাছে অস্বস্তিকর বিষয়।
বকেয়া বিল না মেটালে বিদ্যুত সংযোগ কেটে দেওয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়কে গত বুধবার নোটিশ পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (আইইএসসিও)। কোম্পানি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বিদ্যুত্ সংযোগ বাবদ তাদের প্রাপ্য ৪১ লক্ষ টাকা। গতমাসেও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় ৩৫ লক্ষ টাকা দেয়নি। বারবার মনে করিয়ে দেওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলে কোম্পানি জানিয়েছে।
আইন অনুযায়ী, পরপর দুই মাসের বিল বকেয়া পড়লে কোম্পানি হুঁশিয়ারি দিয়ে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে।
প্রচুর বিল বকেয়া থাকার কারণে ওই কোম্পানি বেসরকারি বিদ্যুত উত্পাদক সংস্থাগুলির পাওনা মেটাতে পারছে না। ফলে বিদ্যুত উত্পাদন ব্যহত হচ্ছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কম উত্পাদনের পিছনে অন্যতম কারণ হল সরকারি দফতরগুলির বিল বকেয়া থাকা।
হিসেব অনুযায়ী, পাকিস্তানে ২২,০০০-২৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। প্রতি বছর ওই চাহিদা ৫ শতাংশ করে বাড়ে। পাক সরকার গত বছর ২৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের দাবি করেছিল। যদিও ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডেসপ্যাচ কোম্পানি (এনটিডিসি) পাক সরকারের ওই দাবি নিশ্চিত করেনি।
দুর্বল ও ভারসাম্যহীন বৃদ্ধির জন্য পাকিস্তান গুরুতর আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে। অর্থনীতি এতটা বেহাল যে অবিলম্বে বড়সড় ও সাহসী সংস্কার প্রয়োজন বলে আইএমএফ জানিয়েছে। গত মাসেই আইএমএফ পাকিস্তানকে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেল আউট প্যাকেজ দিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে চিন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশগুলির কাছ থেকেও চলতি আর্থিক বছরে আর্থিক সাহায্য প্যাকেজ নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে।