বেজিং: চিনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়েছিল। এই মারাত্মক ছোঁয়াচে ভাইরাসের দাপটে সারা বিশ্ব কার্যত থমকে গিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে এই ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতির মোকাবিলায় নাজেহাল হয়ে পড়তে হচ্ছে। এরইমধ্যে চিনের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে। উহানের সঙ্গে সঙ্গে সারা চিনের লকডাউন অনেকটাই শিথিল করা হচ্ছে। চিন সোমবার দেশজুড়ে হাইওয়ে খুলে দিয়েছে। লোকজনকে কাজে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিছু সিনেমা হল খোলার অনুমতিও সরকার দিয়েছে। কিন্তু করোনা আতঙ্ক এখনও মানুষের মনে তরতাজা। ফলে তাঁরা জনবহুল এলাকা এড়িয়ে থাকাই শ্রেয় মনে করছেন।
জনজীবন স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চিনের সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। দেশের ১৭ হাজার সিনেমাহলের মধ্যে ৫০০ সিনেমাহল খোলার সিদ্ধান্ত এই লক্ষ্য সামনে রেখেই নেওয়া হয়েছে।
মানুষের মনের ভয় দূর করেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সম্ভব বলে মনে করছে চিন। কিন্তু মানুষের মনে প্রাণঘাতী ভাইরাসের যে ত্রাস ছড়িয়েছে, তা এখনও অটুট। নিজেদের সুরক্ষিত রাখার মানসিকতাই এখনও প্রবলভাবে সক্রিয়। আর এই কারণেই যে ৫০০ সিনেমাহল খোলা হয়েছে, সেগুলির কোনওটিতেই একটি টিকিটও বিক্রি হয়নি। অনলাইন বা অফলাইন-কোনও মাধ্যমেই দর্শকদের কাছ থেকে সাড়া মেলেনি। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যে এলাকাগুলিতে ওই সিনেমাহলগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, ওই এলাকাগুলিতে গত একমাসে কোনও করোনা সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসেনি। কিন্তু করোনার ভয়াবহতা এতটাই গভীরে শিকড় চারিয়েছে যে, দর্শকরা সিনেমা হলগুলিতে থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকাই নিরাপদ মনে করছেন।ফলে সিনেমাহল মালিকদের কার্যত মাছি তাড়ানোর অবস্থা।
উল্লেখ্য, জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে চিনের বেশিরভাগ শহরেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন নতুন সংক্রমণের ঘটনা একেবারে কমে যাওয়ায় চিন সরকার বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করছে।