নয়া দিল্লি: করোনার ডেল্টা প্রজাতির দাপট যখন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল। মনে করা হয়েছিল হয়ত ২০২২ এ সব মিটিয়ে নতুন আলো দেখবে বিশ্ব। কিন্তু শেষ হল না করোনা। বরং নতুন প্রজাতি বর্ষশেষেই বিশ্বে দাপট দেখাতে শুরু করল। নতুন বছরে ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এই মুহূর্তে ওমিক্রন প্রজাতিটি বিশ্বের ১৩১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে লকডাউন সহ একাধিক নিয়ম জারি হচ্ছে সব দেশে।


শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রটিকে ঠিক রাখতেও নানা চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। একাধিক দেশে বাতিল হচ্ছে উড়ান পরিষেবা। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪২০০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, জানিয়েছে FlightAware ট্র্যাকিং সাইট। ফ্লাইট ক্রুদের মধ্যে কোভিড সংক্রমণের কারণে কর্মী ঘাটতি উড়ান পরিষেবাগুলি ব্যাহত হওয়ার একটি বড় কারণ। ইংল্যান্ডে মাস্ক ব্যবহারে নয়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শিশুদেরও এবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। অস্ট্রেলিয়াতেও পরিস্থিতি তথৈবচ। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, সে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রাখছে।


এদিকে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ইজরায়েলের পরিস্থিতি। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করেছেন যে দেশটি শীঘ্রই প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন করোনভাইরাস আক্রান্ত দেখতে চলেছে। নাফতালি বেনেট বলেছেন যে জুলাই থেকে দেশে ভ্যাকসিনেশন জারি থাকলেও বড় ঝড় আসন্ন। গত দু'সপ্তাহে দৈনিক ৭০০ থেকে ৪০০০ হয়েছে সংক্রমণ। 


ভারতে ওমিক্রন-ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে প্রবল উদ্বেগের মধ্যেই দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে বাড়ল দৈনিক সংক্রমন। তবে মৃতের সংখ্যা কমেছে গত একদিনে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৭৫০। এরমধ্যে গত একদিনে সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ১০ হাজার ৮৪৬। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১২৩ করোনা আক্রান্তর।দেশে বর্তমানে অ্যাক্টিভ আক্রান্তর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৮২। অতিমারী শুরুর সময় থেকে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪০৭। এখনও পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৯৩।


ওমিক্রন নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। দেশের রাজধানী দিল্লি, মুম্বইয়ের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যেও গত কয়েকদিনে হু হু করে বেড়েছে আক্রান্তর সংখ্যা।