ভারত গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে গোটা রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত এলাকায় দুটুকরো করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর পাকিস্তান পাল্টা একতরফা কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করে ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করে। কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতকে বিপাকে ফেলারও চেষ্টা করে, তবে হালে পানি পায়নি পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত পদক্ষেপ তার ঘরোয়া ব্যাপার বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ভারত। তার এই অবস্থানকেই সমর্থন করে সার্কভুক্ত দেশগুলি ও আরব দুনিয়া সহ একাধিক দেশ।
সেই প্রেক্ষাপটেই গরম গরম কথা বলছেন গান্দাপুর। তাঁর হুমকি দেওয়া ভাষণের একাংশ ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন এক পাকিস্তানি সাংবাদিক।
গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে নিজের প্রথম ভাষণের ৫০ মিনিট কাশ্মীর নিয়ে ব্যয় করে, ভারত-বিরোধী বিষোদ্গার করেছিলেন স্বয়ং পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে তিনিও ভারতের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের মারাত্মক পরিণামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, দুটি দেশের মধ্যে প্রচলিত যুদ্ধ লেগে গেলে যা কিছু ঘটতে পারে। প্রতিবেশীর তুলনায় সাতগুণ ছোট একটি দেশ কী করবে, হয় আত্মসমর্পণ অথবা নিজের স্বাধীনতা রক্ষায় যুদ্ধ। আমার বিশ্বাস, আমরা লড়ব আর যখন কোনও পরমাণু শক্তিধর দেশ শেষ অবধি লড়ে যায়, তখন তার পরিণাম সীমান্তের পরিধি ছাড়িয়ে যায়। আমি আপনাদের সাবধান করছি। এটা হুমকি নয়, তবে আমরা কোনদিকে যাচ্ছি, সেটা ভাবুন। এটা ভুল হবে, সেই প্রাথনাই করুন, তবে সবচেয়ে খারাপটার জন্যও তৈরি থাকুন।