লন্ডন:বছরদশেক আগে রঙচটা, ভাঙাচোরা একটা পুরানো চেয়ার কিনেছিলেন এক দম্পতি। একটা নিলামে মাত্র ৫ ডলারে স্কটল্যান্ডের দক্ষিণ ল্যাঙ্কাশায়ারের বিগারের বাসিন্দা ওই দম্পতি চেয়ারটি কিনেছিলেন। দেখে মনে হবে, যেন একটা কুকুর শুয়ে রয়েছে চেয়ারটিতে। সদৃশ্য কিন্তু ভাঙাচোরা চেয়ারটির প্রয়োজনীয় মেরামতি ওই সময় তাঁরা করে উঠতে পারেননি। তাই চেয়ারটিকে চিলেকোঠায় রেখে দিয়েছিলেন।

অ্যাঞ্জেলা মিলনার-ব্রাউন (৫০) এবং তাঁর স্বামী আনগাস ভাবতেই পারেননি যে চেয়াররের ভেতরে কিছু থাকতে পারে।

অ্যাঞ্জেলা পেশায় সায়েন্টিফিক প্রুফ রিডার। তিনিই জানিয়েছেন. চেয়ারটির আসনের ভেতরে গুপ্তধন পাওয়ার কথা। একটি সংবাদপত্রকে তিনি জানিয়েছেন, পুরানো ওই চেয়ারের আসনে লুকোনো ছিল প্রায় ৫০০০ পাউন্ডের গয়নাগাঁটি। চেয়ারটি মেরামত করতে গিয়ে তাঁর স্বামী আনগাসই ওই গুপ্তধনের সন্ধান পান।

অ্যাঞ্জেলা কিন্তু প্রথমে কিছুই জানতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, ছয় বছর চিলেকোঠার ভাঙা আসবাবপত্রের মধ্যেই ঠাঁই হয়েছিল সেটির। এরপর সেটি সারানো হয়। নতুন চেহারায় চেয়ারটি খুবই দৃষ্টিনন্দন। কিন্তু এর আসনের মধ্যে সে কিছু থাকতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি অ্যাঞ্জেলা।

অ্যাঞ্জেলা বলেছেন, কয়েকবছর আগে বিবাহ-বার্ষিকীতে হিরের আংটি উপহার দিয়ে তাঁকে চমকে দিয়েছিলেন আনগাস। এরপর ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তেও হিরের কানের দুল উপহার দেন আনগাস। ইস্টারে ফের হিরের ব্রোচ।

পর পর এত দামী উপহার পেয়ে বিস্ময়ের সীমা ছিল না অ্যাঞ্জেলের। স্বামীর কাছে জানতে চান, কোথা থেকে তিনি ওইসব দামী গয়না কেনার অর্থ পাচ্ছেন। কিন্তু প্রথমে তো কিছুই বলতে চাইছিলেন না আনগাস। অ্যাঞ্জেলা বলেছেন, আনগাস খুবই রোমান্টিক স্বভাবের। তাঁকে সারপ্রাইজ দিতে  গুপ্তধন প্রাপ্তির কথা গোপন করেছিলেন স্বামী।

কিন্তু শেষপর্যন্ত আনগাস স্ত্রীকে সব কথা জানান। অ্যাঞ্জেলা জানিয়েছেন,  চেয়ারটি মেরামতি করতে গিয়ে ওই গয়নাগাঁটি খুঁজে পান আনগাস। সারানোর আগে চেয়ারের গদি খুলছিলেন আনগাস। তিন থেকে চারটি স্তর ছিল। একেবারে শেষস্তরে লুকানো ছিল ওই গয়নাগাঁটিগুলি। অ্যাঞ্জেলা জানিয়েছেন, সম্ভবত ওই চেয়ারটির মালিকই সেগুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন।