কলম্বো:  বিয়ের সময় পাত্রীর পরা সবচেয়ে লম্বা শাড়ি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে স্কুলের আড়াইশো পড়ুয়া নিয়োগ করা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ঘটনাটি শ্রীলঙ্কার এক দম্পতির বিয়ের সময় ঘটেছে। পাত্রীর সেই দীর্ঘ শাড়ি পড়ুয়াদের বয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। শিশুদের অধিকার লঙ্ঘিত, এই মর্মে এরপরই তদন্ত শুরু হয়েছে।


সূত্রের খবর, সেখানকার সরকার পরিচালিত স্কুলের ২৫০ পড়ুয়া ৩.২ কিলোমিটার লম্বা পাত্রীর শাড়িটি টেনে নিয়ে গেছে। বিয়ের আগে পাত্রীর সঙ্গে পথে হেটেছেন পাত্রও। শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। সেই বিয়েতেই স্কুলের আরও একশো পড়ুয়াকে ফ্লাওয়ার গার্ল হিসেবে দেখা গিয়েছে। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের বিয়েতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা সংস্থা। এনসিপিএ-র চেয়ারম্যান মারিনি ডি লিভারা এএফপিকে দেওয়ার এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, এই ঘটনার তাঁরা পূঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবেন, কারণ তিনি চান না কোনও ভাবেই এটা ট্রেন্ড হয়ে যাক।

যে সময় ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পড়াশোনা করার কথা সেই সময় যদি তাদের দিয়ে এই সব করানো হয়, তাহলে সেটা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন লঙ্ঘনকারীদের দশ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।