শনিবার পাকিস্তান পুলিশ ওয়াসিম ও হকের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করে। সেই পরীক্ষায় জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই রাতে কান্দিলের গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে হক। সেই সময় বোনের হাত-পা চেপে ধরেছিল ওয়াসিম। পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে একথা জানা গেছে।
এই খুনের আগে হক ও ওয়াসিম কান্দিল ও তাঁর বাবা-মাকে মাদক খাইয়ে দিয়েছিল। জানা গেছে, এই দুই অভিযুক্তের ভিডিও ও লিখিত বয়ান নথিভুক্ত করেছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে আরও জানা গেছে যে, কান্দিলের দাদা আরিফ এই খুনের জন্য ওয়াসিমের ওপর চাপ তৈরি করে। আরিফ সৌদি আরবে থাকে। এরপরই হক ও ওয়াসিম কান্দিলকে খুনের ছক কষে।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে বিভিন্ন খোলামেলা ছবি ও ভিডিও এবং মন্তব্য পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন কান্দিল। তাঁর প্রকৃত নাম ফৌজিয়া আজিম। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করে পাকিস্তান পুলিশের কাছে নিরাপত্তা প্রদানের আর্জি জানিয়ে ছিলেন। ফেসবুক পোস্টে পাকিস্তানের মানুষের গোঁড়া দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের চেষ্টার কথাও তিনি জানিয়ে ছিলেন।