নয়াদিল্লি: সারা বিশ্বে ফের উদ্বেগের সঞ্চার করেছে করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এরইমধ্যে ব্রিটেনে গবেষণায় উঠে এল ওমিক্রন সংক্রমণের কিছু উপসর্গ। হাঁচি, মাথাব্যথা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ থাকতে পারে ওমিক্রন আক্রান্তের। ব্রিটেনের গবেষণায় এ কথা জানানো হয়েছে।
Zoe Covid study অ্যাপ হাজার হাজার আক্রান্তকে তাঁদের উপসর্গ জানাতে বলেছিল। সমীক্ষকরা তদন্তকারীরা প্রভাবশালী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এবং অতি সংক্রামক নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন-উভয়ের সাথেই যুক্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেছেন।
গত ৩ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে সাধারণ লক্ষণগুলি জানা গিয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে-সর্দি, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, হাঁচি, গলা ব্যথা। ডেইলি মেলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সুপার মিউট্যান্ট ভাইরাস কোভিডের চেয়ে বেশি সর্দি-কাশির মতো। অন্যদিকে, সাধারণত কোভিডের উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে, একটানা কাশি, প্রবল জ্বর ও ঘ্রাণ ও স্বাদ হারিয়ে ফেলা।
ZOE Symptom Tracking Study-র প্রধান বিজ্ঞানী তথা এপিডেমিওলজিস্ট অধ্য়াপক টিম স্পেক্টর ব্রিটেনবাসীর কাছে বড়দিনের প্রাক লগ্নে এবং বন্ধু ও আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার আগে ওমিক্রনের এই সব প্রকাশ্য লক্ষণ সম্পর্কে নজর রাখার আর্জি জানিয়েছেন।
টিম স্পেক্টর বলেছেন, আশা করছি, মানুষ এখন ঠান্ডার মতো লক্ষণগুলি চিনে নিতে পেরেছেন, যা ওমিক্রনের প্রধান উপসর্গ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ওমিক্রনের প্রধান উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে সর্দি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, হাঁচি-এ ধরনের ঠাণ্ডা লাগার মতো উপসর্গ। এমন হলে বাড়িতেই থাকা উচিত। কারণ, তা কোভিডও হতে পারে।
ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে তিনি এ ধরনের উপসর্গ দেখলে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এ সব উপেক্ষা করে বেরোলে তা সংক্রমণ বাড়ানোর সামিল হতে পারে।
উল্লেখ্য, ওমিক্রন আক্রান্তদের অনেকের ক্ষেত্রে অতীতের ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় সামান্য অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে বলে খবর। যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি যে, এই ভ্যারিয়েন্ট অন্তর্নিহিতভাবেই দুর্বল নাকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিরোধের হার বেশি বা একসঙ্গে এই দুটি বিষয়ই কিনা।
অধ্যাপত স্পেক্টর আরও বলেছেন যে, কোভিডের জ্বর, কাশি, স্বাদ বা গন্ধহীনতার যে লক্ষণগুলি সাধারণত ছিল, তা এখনও খুব অল্প আক্রান্তদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন যে, ওমিক্রন সম্ভবত ব্রিটেনের টিকা সংক্রান্ত সুরক্ষা কবচ এড়িয়ে চলতে সক্ষম। কিন্তু এরপরও মানুষের সুরক্ষায় টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।